চিত্রা যেন কস্তুরি মৃগনাভির গন্ধ তোমার গায়,
স্পর্শের পর মনে হয়, -
যেনো অনন্ত জন্ম আমি স্নান ছেড়ে সন্ন্যাসীর মতো -
ধ্যানে বসি;
তোমারে ভালোবাসি, বড্ড ভালোবাসি।
পাংশু মেঘের মতো শ্রাবনের দিনে;
খুব ইচ্ছে করে বৃষ্টির ফোটা হয়ে আনমনে,-
তোমার উষ্ণ বক্ষ ছুয়ে,
শরীরের সাথে মিশে যাই!
মিশে যাই তোমার আরো গভীরে-
যেখানে সহস্র পদ্ম সারাক্ষন ফুটে থাকে!
তোমার অতল নদীর তলে ডুব দিয়ে সুখ তুলে আনি!
চিত্রা, তোমার অমৃত রসে যখন শিক্ত করি;
আমি হয়ে থাকি এক মাতাল!
তৃষিত প্রেমিকের মতো সারাক্ষণ অপেক্ষা করি আমি,
চেয়ে থাকি একটি বুভুক্ষ হৃদয় নিয়ে সারাটা সকাল।

চিত্রা তোমার বুকের ভেতর কী এক গভীর নেশা ;
অতলান্তিকের মতো বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে,
আমারে আকাঙখা করে সহস্র বছর, -
ইচ্ছা করে ভেলার মতো ভেসে থাকি  তোমার বুকের উপর।
তারপর আকাশের বুকে একটি তারার মতো,
এই আমি আজন্ম তৃষিত,-
তোমার বাহু পাশে,
মুদিত নয়নে শুয়ে থাকি অনাদি কাল তোমারে ভালোবেসে।