চিত্রা তোমাকে পাওয়ার পরে ;
আমার যেনো কী এক গভীর তৃষ্ণা জাগে আরো!
গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয় হৃদয়ের প্রণয়!
তোমার নদীর উজান ভাটিতে নাও বেয়ে,
সারাদিন ফিরি যদি ক্লান্তি জাগেনা আমার!
কখন যে চিত্রা আমার খুলে যাওয়া তরী;
ভেসে চলে বেসামাল দিশাহীন!
ওই গাঙে, যেখানে আষাঢ়ের বর্ষায় পিছলানো পথে,-
অনেকটা পথ হেটে তোমার বুকের উপর,
নিজেরে হারায়ে ফেলি আমি অদ্ভুত পিপাষায়!
চিত্রা তোমারে যদি পাই আরো অনন্ত জন্ম,
চিত্রা আরো পাই যদি তোমারে -
বুকের খুব খুব ভেতরে,
আরো কত নেশা জেগে ওঠে চির তৃষিত অন্তরে!
চিত্রা কত ভালোবাসি, কত যে চাই তোমারে;-
রাতের গহীন নিশি ভারি হয় সে শুন্যতা, হাহাকারে!

যে প্রণয়ের দাগ তোমার গ্রিবায়,  ঠোঁটে;
প্রথম গিয়েছি একে,  সেই থেকে কত যে বাসনা জাগে!
তোমারে ঘিরে;  সে কঠিন তৃষ্ণার তবু হয়না অবসান।
জমাট বাধা অন্ধকারে তোমার বিছানো কেশের ঘ্রাণ,
জমা হয় পরানের আরো গহীন!

কোমল বাহুতে জড়ানো তোমার কঠিন বাধন;
আমার দেহের প্রতি কোনে কোনে,
রেখে যায় তোমার শরীরের অদ্ভুত আঘ্রাণ!

লবনাক্ত ওই নদীর চরায় মুখ গুজে থেকে;-
তোমারে আকাঙখা করে কেটে যাক,
আমার এ পার্থিব জীবন!
চিত্রা তোমাকে পাবার জন্যে আমি এ জন্মে বারবার;
ভালোবেসে কঠিন তপস্যা করে যাবো নিরন্তর।