চিত্রা আমার অপেক্ষা যেন শেষ হয়না!
একাকী সন্ধ্যা তারার মতো শুধু চেয়ে থাকি পথ জুড়ে।
হাজার বছর ধরে তোমারে ভালোবেসে বার বার,
মনে হয় আমি এই পৃথিবীর অনন্ত নক্ষত্রের ভীড়ে আবার-
খুঁজে ফিরি অগনিত মুখের ভেতর!
তোমার দেহের খাজে খাজে প্রণয়ের ঘ্রাণ ;
বাস করে কোন এক মায়া মৃগের মতন।
তোমার চুলের গন্ধ আমায় নিয়ে যায় দারুণ নেষায়;-
দেহের প্রতি ইন্দ্র জেগে থাকে,
প্রত্যহ জ্যোৎস্নালোকে;
গভীর আলিঙ্গনের আশায়।
চিত্রা, বেহাগ রাগের মতো এক সকরুণ সুর,-
তোমার কন্ঠ ছুয়ে প্রতি শব্দ কনা যেন বয়ে চলে নিরন্তর!

তুমি এসো বসো আমার শরীর ছুয়ে আরো কাছে!
উষ্ণ মদিরার মাতাল গন্ধ যেন কামিনীর মত,-
বিভোর করুক আমায় অনন্ত কাল ধরে।

তোমার আশায় আমি হিমালয় থেকে বার বার ফিরে আসি;
কোমল শরীর জুড়ে শীতল জলের ধারা হবো বলে।
না পেলে তোমারে এক গভীর অভিমানে চলে যাবো আবার,-
বাস্প হবো, বৃস্টির ধারা হয়ে ঝরে যাবো পাহাড় চুড়োয়!

চিত্রা, শিবসার নোনা জলের ভেতর যদি আর কিছুক্ষণ,-
আবার ডুবে থাকি কোনদিন!
চরের নরম কাদা গায়ে মেখে শুয়ে থাকি অনন্তকাল!
তোমারে পাবার বাসনা জাগে অবিরাম ;-
নীলাভ সভ্যতার পেচানো দ্বিধার জাল ছিড়ে তোমারে,
নিয়ে চলি অদেখা অচেনা জগতে হাত ধরে!
তোমার দেহের স্বাদ, যেন হৃদয়ের তীর ভেঙে গ্রাস করে -
অলীক নগরী; বাসনার পরতে পরতে সাজাই তোমারে!
চিত্রা তোমারে ভালোবেসে,
সমস্ত দিনে শেষে;
আমি ভেসে যাই কোন এক অদ্ভূত লোকে;-
তোমারে জাপটে ধরে আরো বাড়ুক তৃষ্ণা এ বেদুঈনের বুকে!