সন্ধ্যার হলুদ সুর্য এক নতুন জগত খুজে ফেরে,
সোনালী দিনের পাখি শিশ দেয় ঘরে।
দারুল বনের ছায়া বড় হয়, দিগন্তের দিকে–
বুনো পাখি নীড়ে ফেরে; কাঠাল পাতার ফাঁকে;
রাত নামে; জোসনার রূপালী চাঁদ ধুসর বনের—
পাহাড়ি ঝর্ণার জলে ছায়া ফেলে, —নিস্তব্ধ অন্ধকারের;
প্রেমের সংগীত রচে স্বর্গের অমরাবতী।
নারীর প্রেম সহস্রাব্দে জমা হয় খাজুরাহে,
সৃস্টি করে নন্দনকানন আপনার দেহে।
বর্শার ফলার মতো বিধে যায় কোন একখানে,—
সংগোপনে!
হাজার বছর কবে শেষ হয় চোখের নিমেশে!
একটি ঠোঁটের স্বাদ পেতে সে ভালোবাসে,
একটি সমস্ত আকাশ!
অজস্র রাত্রি জাগে ; শিবসা, চিত্রার বাতাস—
কী জুড়ায়? তোমার থেকে পাওয়া শরীরের সে উষ্ণতা।
সৃষ্টির প্রথম রশ্মি আজো আসিনি, এইখানে হাজার সভ্যতা;
ধুলার চিহ্ন হয়ে আছে জমা; —অনাগত কালের পাতা,
আমাদের অলেখা ইতিহাস আর প্রেম নিয়ে গেছে!
মরুর তল খুজে আমরা যারা জলের তৃষ্ণা ফেলি মুছে!
সমস্ত রাত্রি জেগে করি একটি তারার সন্ধান, —
নিভৃতে কেটে যায় আমাদের একটি আশ্চর্য জীবন।