মাঝে মাঝেই স্মৃতির কয়েদখানা ভেঙে যায়,
জিইয়ে উঠে দুরন্ত শৈশবের ক্ষণেরা,
সময়ের ধূলো ঝেড়ে স্বশরীরে উঠে আসে;
এদিক ওদিক পায়চারী করে-
খুবই চেনাজানা গতিময় সেই দিন গুলো!
ওখানে না ছিলো কোন হীনমন্যতা,
না কোন জীর্ণতা;
চারিদিকে উড়ে বেড়াতো রঙবেরঙ প্রজাপতি স্বপ্নেরা;
পাখা মেলতো ঘাসফড়িঙ ইচ্ছেরা!
বয়স কম ছিলো বলে কতো আফসোস!
মনে হতো যে বয়স আসবেই কোত্থেকে?
সব তো গিয়ে বাসা বেঁধেছিলো সেই-
স্কুলের পথে খাল পাড়ের বুড়ো পাকুড় গাছটায়,
আর নরেণ মিস্ত্রীর নব্বই পেরোনো ঠাকুর্দার ঢিলেঢালা ত্বকের ভাঁজে,
ঘোলাটে চোখের সরু চাহনিতে, দন্তহীন চোয়ালে।
বাকীটুকু সময় একাই দখলে রেখেছিলো
আকরম ব্যাপারীর শতবর্ষী বৈঠক খানার
দখিন বারান্দায় পা ভাঙা তেলচিটে হেলানো বেঞ্চিটা!
ওসব কিছুই আর এখন চোখে পড়ে না;
সব গিলে খেয়ে সময় আরো বলবান,
আরো হৃষ্টপুষ্ট এখন;
পাকুড় গাছের দেহে বয়সের বাসা সেই কবেই ভেঙেছে;
প্রজন্ম দেখবে এখন বয়সের গড়া নতুন কোন বাসা;
ঠিক এখানে বা ওখানে, নতুন কোন দেহে!