না ফানুস আর উড়াই না আমি
আজকাল উড়াতে ভুলে গেছি রঙিন ঘুড়িও।
বড় নিষ্ঠুর আর নিষ্প্রাণ এরা-
বন্ধ করেছে সবুজ দেখার দখিনের জানালাটা,
চৈত্রের টানে জান বাঁচাবে জলের যে শেষ ফোঁটাটা,
জানি অবশেষে কেড়ে নেবে তাও!
মনে নেই?
কেঁদেছিলাম অনেক সেদিন,
দাঁড়কাক, চিল, শকুন আর ইলেক্ট্রিক তারের কাছে-
নির্বিচার বর্গা গিয়েছিলো আমার আকাশটা-
অবশেষে কাঁটা তারের ব্যারিকেড এখন সিঁড়িতে,
তাও দেখতে মানা; কথায় কথায় জরিমানা!
সশ্রম কয়েদী এক লখিন্দরের বাসর ঘরে;
কোমায় প্রহরের বীট গুনি; প্রলাপের ভিত বুনি।
একদিন কায়ক্লেশে সময়ের স্রোত থামিয়ে-
তন্নতন্ন হয়েছিলো ঈশ্বরের লুকনো সিন্দুক অবধি!
অত:পর জবর দখলেই ফিরিয়ে আনা এই জীবন।
সূর্যের আলো থেকে প্রিজম যেভাবে টেনে আনে
বর্ণালীর সাতরঙ; এখানেও-
নিশ্চয়ই কোন বেহুলা বাজিয়েছিল প্রাণের সাতসুর;
ফুটেছিল যৌবন, এখানটা হয়েছিলো বসন্ত রঙিন।
এবার গ্রাস হবে আঁধারচারী আরশোলার,
প্রাণ খেকো ঘুণপোকার, নরকের কীটদের-
তেড়ে আসা প্রেতাত্মার,
হোক তবে, সাবাড় করুক খেয়ে!
তবু নেই কোন আফসোস।
এ জীবন যাবে যাক ভেসে গাঙুরের জলে,
তবু আমার রাতটুকু থাক এই নিষ্প্রাণ চরে,
অন্তত আলোর জোনাকটা হলেও থাকুক বেঁচে।