উবে যায় আস্ত দিনটা কর্পূরের মতো,
আঁধারের চোয়ালে পিষে ক্ষয়ে যায় আটপৌরে রাতটাও;
তবু, আমি ঠিক এখানেই থেকে যাই;
আদিম রাত জুড়ে আঁধারের কদম গুনি,
আর ঘুমন্ত রঙধনুর বাঁক থেকে রঙ এনে
জোনাকের তুলিতে চেনা অবয়ব আঁকি।
অষ্টপ্রহর থাকি মিলেমিশে এই শিশিরের ভোরেও;
প্রত্যূষের নরম রোদে অদৃশ্য রেখপথে আবর্তন করি;
অবিরাম এক নেশাতুর অরবিটে, প্রদক্ষিণ করি তোমাকে।
দিনের আলোতে যেভাবে আকাশের বিছানায় ধ্রুবতারা জাগে
কিংবা গাঢ় মেঘমালার ওপারে যেমন
চিরকুমার আইবুড়ো সূর্যটা ভাবনায় থাকে ডুবে;
আর লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেয়সীর ভালোবাসার মাত্রা মাপে;
তেমনি আমি ধূলোর পথে তোমার পায়ের ছাপ গুনি।
অত:পর মধ্য পৌষের পান্ডুর-কুঁড়ে দুপুরের মতো
শুধু তোমাতেই একফোঁটা উষ্ণতা খুঁজি।
দিনভর হেঁটে ক্লান্ত ঘর্মাক্ত বাতাসের গা থেকে
তোমার উষ্ণ দেহের ঘ্রাণ শুঁকি; তোমার বারতা শুনি।
পরিশেষে সময়ের জমাট লাভাতে তলিয়ে যাওয়া জলাশয়ে ডুবি';
আমৃত্যু লেহনে তোলা প্রাচীন শব্দে তোমার কাব্য লিখি।