ঐ চেয়ে দেখো-
কিভাবে লেজ গুটিয়ে তল্লাট ছাড়ে বুনো আবেগ!
কোথায় আজ ইচ্ছের সেই দুর্বিনীত চিতাটি?
ইজি চেয়ারে ঠেস দেয়া ছড়িতে করুণ চোখে চেয়ে-
রাজসিক যৌবনের সকল স্বপন, সকল উচ্ছাস!
একদা প্রেয়সীর পায়ে অবলীলায় পোষ মেনে যাওয়া-
ঈষাণ নৈর্ঋত টলানো সেই নাচের মুদ্রাগুলোও
ক্রমশ আটপৌরে প্রৌঢ়ার দেহে প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায়;
দিবা নিদ্রার ঝিমুনিতে বেতাল, কিঞ্চিৎ দুলে মাত্র!
তবুও মাঝ আকাশে চতুর্দশী রাতে
আজো কেন পূর্ণিমার চাঁদ হাসে?
পুকুর পাড়ের কাঁচা-মিঠে গাছটা ঠায় দাঁড়িয়ে,
কস ছড়ানো ক্ষতটা বেশ বিস্তার পেয়েছে দিনেদিনে;
বড়ই নিঃসঙ্গ সে,
পাশের জলকড়ইয়ের চারাটা নেই আর,
বসত ঘরের তক্তপোষ হয়েছে বছর কয় হলো।
এখনো ঝড়ে কড়া কুড়োয় পাড়ার কিশোর-কিশোরী;
আমি দাওয়ায় বসে থাকি; তাকিয়ে থাকি;
ভাবনার খিড়কি পথে ভূত-ভবিষ্যৎ দেখি!
ওদেরও কারো কারো নিতম্ব ছড়িয়ে ভেজা চুল থাকে;
ভেজা গায়ে তেলচিটে ঘ্রাণ থাকে, লাজুক চাহনি থাকে;
পাজামার গিঁটে লুকিয়ে রাখা দুমড়ানো ফুল আর-
বৃষ্টির জল মিলে এক হয়;
যৌক্তিক দাগও হয়, যা চোখে পড়ে!