স্বপ্ন, প্রেম, নীতি, মানবতা-উদারতার পাহাড়;
আমার শৈশব, কৈশোর সবই খেয়ে সাবাড়
আশ্চর্য! কিছুতেই কিঞ্চিত অরুচি নেই যে তার,
আচ্ছা বল তো, আর কত চাই তোর আহার?
এ বেলায় পাতে তুলেছে আমার যৌবন সাধের
অচিরেই চিবিয়ে চেটেপুটে খাবে বুঝে গেছি ঢের
পারে তো এক লহমায় গোগ্রাসে যেন গিলে নেবে!
লোভী রাক্ষুসে সময় তোর কত গভীর খিদে তবে?
একদিন এভাবেই ডালপালা খেয়ে একেএকে,
ঠিকঠাক এদিকে নিশানা হবে ঐ শ্যেন চোখে,
লোভের চোয়াল জুড়ে শাণিত দাঁত ঐ চকচকে
অবশেষে আস্তই খাবে যে অবলীলায় আমাকে!
সুতরাং নয় আর কোন অপেক্ষার প্রহর,
থামাতে হবে বিধ্বংসী খিদের কৃষ্ণগহ্বর ,
সাধ, আহ্লাদ কবেই পুরেছে সেই অথৈ উদর
উদারতা ভুলে আজ হবো রক্তপায়ী গদাধর।
অধরের ভাজে মোটেও ওম নেই আজ প্রেমের,
মৃত চুম্বনেরা হয়েছে ভয়াবহ প্রেতাত্মা হিংসের
সুতীক্ষ্ণ দাঁতে শতভাগ সমৃদ্ধ চোয়ালের হাড়,
গোলাপের হাতে অযত্নের থাবা, হয়েছে নখর!
তাই, আমিই আততায়ী হবো এবার!
নিমেষে ফালি ফালি হবে নির্বিচার-
শ্বাসনালী, যকৃত, পাকস্থলী, ডিওডেনাম, পাঁজর;
টেনে ছিঁড়বো ক্ষুদ্রান্ত অবধি, নগ্ন হবে তোর উদর!
সিঁকেয় তুলেছি সব লজ্জা, ঘেন্না, ভয়-ডর,
এখনো সময় আছে পালা, এ তল্লাট ছাড়!
ফিরিয়ে দে হারানো সেই সোনালী দিন আমার,
গড়বো কুঁড়ে আবার স্বপ্ন-সুখের, ভালোবাসার।