রাতভর হাওয়ায় ভাসে মায়াময় আঁধারেরা, কুয়াশারা
সেখানেও তো থাকে জলকণা, থাকে লুকিয়ে কোমলতা;
পরম যত্নে নির্বিচারে বুকে টেনে নেয় শুষ্ক পাথরেরা,
নাক ডুবিয়ে খানিক আর্দ্রতা খুঁজে অবহেলার খড়কুটো, তৃণরা।
আর নিষ্পলক চেয়ে থাকি আমি,
দুঃস্বপ্নের চরে ডুবে যাওয়া নির্ঘুম চোখের তারা;
তবু নতুন উদ্যমে জাগ্রত নেশাতুর, নিশাচর মন আমার
সুনিপুণ জাল বুনে, কখনো বা জট খুলে।
আর পিছদ্বারে জড়ো হয় বাস্তবতার তাড়া খাওয়া দলছুট ভাবনারা
স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ হয়, যৌক্তিক বিকাশও হয়;
সাইবেরিয়ার খানা-খন্দে জমে বরফ হওয়া জলের মতোই
খানিক ভৌত আকৃতি পায় তোমার আমার উদ্বাস্তু সম্পর্কটা!
অতঃপর অবলীলায় আমি আবার আশাবাদী হই,
মনে হয়, এই বুঝি ঠিকঠাক মিলে গেলো!
ক্রমশ গড়ে উঠে সম্পর্কের জ্যামিতি, প্রেমের আকৃতি-
ত্রিভূজ, চতুর্ভূজ, কখনো বা বহুভূজ;
অবশেষে স্পষ্ট জটিলতম ভালোবাসা এক,
চরম অস্তিত্ব সংকটে বিপ্রতীপ কোণে বিচ্ছিন্ন!
দূর মেঘমালায় তুমি আর এখানে পাংশু মুখচ্ছবি আমি;
সন্নিহিত বিন্দুতে একিভূত করার গলদঘর্ম সংগ্রামে ক্লান্ত!
প্রাণপন বিশ্লেষণ চলে কোরান, পুরাণ, বাইবেল,
সবশেষে ওল্ড টেস্টামেন্ট; সমাধান যে নেই সেখানেও!
পরিশেষে অপেক্ষার ক্যানভাসে ক্রমাগত করুণ আকুতি ফুটে
তবু কেন প্রহরের দাঁড় কাটে, আশায় বুক বাঁধে বেভোল মন?
সুদূর মেঘমালায় বন্দি আমার গগণ কাঁদে
আর এখানে আমি, প্রেমের পাহাড়সম নথিপত্র বুকে;
যেন মর্মস্পর্শী আপীল এক সময়ের উদার এজলাসে!