আমার বড্ড হিংসে আর আফসোস হয়
এই নির্দয়, অবিবেচক বুড়ো সময়টারে;
আজ এখানে তো কাল ওখানে,
কীসের এত পথ চলাচলি তোর?
মরু বেদুইনের মতো শুধু ঘুরে আর ঘুরে!
কেউ যদি পেটানো লোহার শেকলে বেঁধে দিতো একে
ঐ দূর পাহাড়ের গুহার ভেতরের পাথরে,
অন্ততঃ থেকে যেতাম ত্রিশের শেষ কোন ঘরে।
ভেবেছিলাম হয়তো দিন এবার থেমেই যাবে!
দেখবো কোথাও আইনস্টাইনের ক্লোনিং হবে;
ক্রমশ ধীর হতে হতে এই যাযাবর সময়
চুপি চুপি কভু ঠিক ঠাক এসে থেমেই যাবে
তোমার যাবার পথের ধারের পুকুর পাড়ে,
কিম্বা দাঁড়াবে আমার সেই দখিনা করিডোরে।
আবার দেখবো তোমায় স্কুল ব্যাগ কাঁধে
ঝুটি বাঁধা চুল, কানে গুঁজা ফুল
লাজুক বক্ষাবরণী তোমার মৃদু বাতাসে উড়ে!
আজো টানা রাত জাগে ঘুমঘুম নির্ঘুম চোখ,
নিবিড় পরিচর্যায় ক্লান্ত-শ্রান্ত মন,
ভাবনার জরায়ুতে ক্রমশ বেড়ে উঠা
এমনি ঝাঁক-ঝাঁক অর্কিড, বনস্পতি স্বপন!
এখানেই থাকুক তবে ওরা,
দিনে দিনে যখন বেশ মেনেই গেছে পোষ।
যাবেই বা কোথায় ওরা পালিয়ে আর
কোথায় পাবে বসবাসের ভূমি এমন?
অকর্ষিত, পরিত্যক্ত, বিরান আর নির্জন।