কেউ জানেনা, জানবেও না কোনদিন,
জানিনা আমিও-
কখন যে তোমাতেই হয়ে গেছি এমন বিলীন;
প্রেমোত্তাপে বিগলিত আমি,
রোদের আঁচে তরল হওয়া স্নেহ-টিনের মতো
শতভাগ বিগলিত আমার প্রাণ-মন!
কোন ধাতব স্কেলের মাপে নয়,
নয় নিরূপিত কোন পারদ-যন্ত্রের উঠানামায়;
হৃদয়ের বিকারে স্রেফ দ্রবীভূত
তোমাতে একাকার প্রাণের সর্বশেষ কণাটা অবধি,
ঈষদুষ্ণ জলে সমসত্ত্ব মিশে যাওয়া শর্করা কেলাসের মতো।
তবু, কেন বারবার খুন হই আমি?
কেউ বুঝেনা-
যতোবার অবিশ্বাসের কন্টক টেবিলে শায়িত আমি,
ততোবার খুন হই; রক্তাক্ত হয় আমার প্রাণ।
ভালোবাসা অন্তরীণ হলে,
ভাবনার ডালাপালা কেটে নিলে,
অবশেষে দেহ কাণ্ড টুকু নিস্পন্দ থাকে পড়ে,
অনন্ত অন্তরীক্ষ তলে।
তবু বেশ বেঁচে থাকি আমি-
বড় আশায় থাকি অন্তুর্বেদী ভূভাগ হয়ে;
বেঁচে থাকে অসাড় চোখের মুমূর্ষু আমার প্রাণ!
একদিন ডাব গাছের পাশের এই ছোট্ট চারা থেকে-
টুপটাপ একটা-দুটো বাসী কদম ঝরবে বলে;
মধ্য কার্তিকের এঁদো-ডোবার মতন আমার উবে যাওয়া জলে;
একদিন এখানেই আবার পাবো কদমের ঘ্রাণ!