মধ্য কুড়ির উদ্যাম প্রহরেরা স্তূপীকৃত মমি,
নিষ্প্রাণ লাশের পাহাড় ঘুমায় স্মৃতির ক্ষয়িষ্ণু পিরামিডে;
স্বপ্নের প্রাণবন্ত ঘাট এখন ধূসর অতীত-
পরিত্যক্ত নৌ-জেটির মতো ভূতুরে এক আঘাট।
একদিন-
পিউপিল, রেটিনা, অপ্টিক নার্ভ থেকে বুকের পাঁজর অবধি-
সর্বত্র গড়ে উঠেছিলো একচ্ছত্র গোপন আবাস তোমার;
নিলয়-অলিন্দের দেয়ালের সংরক্ষিত যাদুঘরে-
অনুপম তুলির আঁচড়ে ফুটেছিলো অবয়ব তোমার।
অতঃপর-
ক্রমশ এলে অন্তিম কাব্যময় ডায়েরীর ছেড়া পাতায়,
প্রাণের বদ্ধ কূপ থেকে আমৃত্যু লেহনে তুলে আনা-
নিখাদ শব্দের বাঁধনে সঙ্গোপনে বাঁধা ঘরে।
অবশেষে লোভের প্রত্নতাত্ত্বিক আমি,
প্রাণপণ খোঁড়াখুঁড়ির পর খ্যাতির নিলামে উন্মুক্ত তুমি,
প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রের মতো চড়া দাম হাঁকে লুকনো আবেগ!
আমার ভালোবাসা;
আমার প্রথম প্রত্যূষের সেই সোনালী প্রেম।
কোন পৌষের সকালে জলপাই রঙ শাড়ীতে-
নূপুরের আলতা রাঙা শিশির ভাঙা নগ্ন পা;
বাহুর ছাই রঙ লোম আর পানি ফল রঙ পলিশহীন নখ;
শালুকের ঝিলের মতো উদাস চোখ!
আজ অবলীলায় নগ্ন প্রদর্শিত খ্যাতির হাটে;
আর আমার লোভী আঙুল অক্লান্ত গুনে যায় খ্যাতির ধাপ-
এক; দশ; শত; সহস্র; অযুত; নিযুত!