বিষাদের বালুচরে আটকে আছে নাও
লাগেনা যে প্রাণে কোন দখিনা বাও;
জনা বিশেক যাত্রী, যায় দিবারাত্রি
নাও বল, দেশ বল কিবা এই ধরিত্রী-
একের তরে পাহাড়টাও হয় যেনো
সকলের তরে তৃণসম যেনোতেনো।
কতক ঝিমোয় ছাদে কিবা রোদে
নেই কাজ, সুখ খুঁজে পূর্ণিমা চাঁদে
দিনটাই রাত যেনো রাত কাটে হেঁটে
মহাপুরুষ ভেবেই তাদের যায় দিন কেটে!
কতক বসে শুধুই প্রেমের ছক আঁকে
পুড়া-পুড়া হৃদয়ে বিষময় ঠেকে;
জীবনের লেনদেন না করেই শোধ
অষ্টপ্রহর ঝিমোয় নেশায় নাইকো বোধ।
অবশেষে গুম, খুন, ছিনতাইএ ঝোঁকে
শ'টাকা হলেই দেদার চাকু চালায় বুকে!
কতক শুধুই কেবল কড়ির ঘ্রাণ বুঝে
লুট আর টেন্ডারে সাগর নেয় লিজে;
মিশিয়ে চিনি মধু গাল ভরা বুলি শুধু,
দেখে আবার মনে হবে খাঁটি এক সাধু।
পাশেই কতক ভোগে দেখে না কেহ
অভাবের কষাঘাতে জরজর দেহ
বুক ভরা স্বপনেরা আকুলে কাঁদে
তবু নায়ে হাল ধরে, ছেঁড়া পাল বাঁধে।