তনুরা মরে গেছে,
বেঁচে আছে বর্ষ-বরণ অনুষ্ঠান-
পান্তা ইলিশ, কাঁচা লংকা আর মেলা যাইরে গান।
বাসন্তী রঙ শাড়ি;
তাই নয় শুধু, বিক্রি বেড়েছে সাদা কাফনেরও;
নববর্ষ এনেছে নব সূর প্রাণে! সাথে ধর্ষণ কারো কারো।
তনু মরে, নুসরাত মরে, কাঁদে চার বাচ্চার জননী,
বর্ষ কত এলো আর গেলো,
হুঁ! সাজা পেয়েছে কবে কে শুনি?
ওরা লাশ হয় জঙ্গলে, খোলা মাঠে, আর মাদ্রাসা-মন্দিরে,
ওরা মরতে মরতে বাঁচে লাফিয়ে চলন্ত বাসের কিনারে।
হায়েনারা সদা নিরাপদ খাঁচায় গণ হুজুগের রোষে,
গোল্ডফিসের স্মৃতি তোদের!
দেখ্ দেখ্ ওরা ঘুরে ফিরে আজি দেশে।
আপন জুয়েলার্স, অধ্যক্ষ সাহেব;
বেশ খ্যাতিমান ওরা অর্থে, আর অনর্থের জোশে(!)
অবলা নারী দুচারটা গেল, কী বা তাতে যায় আসে!
ওরা মরেছে কী হয়েছে তাতে, এইতো আমি বেশ আছি,
পান্তা খাই, ইলিশ খাই, আর হুজুগের তালে নাচি।
১লা বৈশাখ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।