স্টিমারের করিডোর- ব্যবধান শুধু,
মুখোমুখি দুটি বারান্দার মাঝখানে;
বারান্দা দুটোতে নির্জনতা আঘাত হানে
সকাল-দুপুর কিংবা রাত্রির মধ্য প্রহরে;
ছোট্ট দূরত্বটুকু পার হয়ে দু’পাশ থেকে
প্রায়ঃশই উঁকি দেয় দুটি মুখ, কদাচিৎ দৃষ্টি বিনিময়!
দু’টি প্রাণের মাঝে কি যেন হয়ে যায়;
ভাষাহীন শান্ত দৃষ্টিতে কত নিঃশব্দ আলাপন!
তারপর আর কিছুই থেমে থাকে না,
ব্যাত্যয় ঘটেনা এ নিয়মের।
দুই বারান্দার মাঝখানে এক চিলতে আকাশ,
শেষ চাঁদের হাসি মিলিয়ে যাবার পর
আলোছায়া মিলে হৃদয়ে তোলে ঝড়।
আরও একজন অবশ্য জেগে থাকে-
জ্যোৎস্না; পাশের জানালার কার্ণিশে একটু বাকেঁ,
দু’টি প্রাণির কথোপকথনের নিরব সাক্ষী;
নিস্তব্ধ চরাচরে ঘুমে বিভোর ডাহুক পক্ষী
তখন জোনাকির ডানায় ভর করে রাত আসে,
জ্যোৎস্নার মায়ায় থাকেনা কোন প্রতিকূলতা ,
নিরব রাতের শেষ নক্ষত্রের কৃপণতা।
খাঁচায় বন্দি দুটি প্রাণ জেগে থাকে- মুখোমুখি;
ব্যবধান মাঝখানে স্টিমারের করিডোর।