মানুষ হিসেবে প্রেমিক এত আনমনা যে-
সবশেষ কোন রজনীর জ্যোৎস্না দেখেছে
মনে নেই।
মনে নেই জানি,আড়াইশো বছর আগেও
এমন বিভৎস জীবনযাপনে হারিয়ে ফেলা খেই।

তাইতো-
কুঞ্জ বনের পাশে ঘর বাঁধে
আকাশ প্রদীপ জ্বেলে বসে থাকে
চলে যায় আশ্বিন-কার্তিক মাস,
নিস্প্রভ জীবন থেকে হারাতে বসে যত উচ্ছ্বাস।

সেই দিগ্বিজয়ী প্রেমিকের মাঝেও একসময় প্রেম থাকেনা।
থাকেনা,সাঁঝের বেলায় প্রেমিকার সাথে যত আপোষ
ভাড়ায় ভালোবাসা কিন হয় সুখী
নিশিথেরে রাখে অতৃপ্ত,নিজে হয় জনম দুখী।

তবু আজও বৃষ্টি ভেজা সাঁঝের মায়ায় যখন
প্রেয়সীরা নিষ্ঠুর বাঁশি বাজায়,
বকপক্ষীরা বাড়ি ফিরে সংসার সাজায়,
মৌলভী আজান দেয়,পুরোহিত ঘন্টাধ্বনি
চন্দ্র মাটি ছুঁয়ে দেয়,
সুগন্ধা পাড়ের নীরব নিস্তব্ধ কুঠুরিতে জ্বলে আলো,
প্রেমিক তখন তটিনী বক্ষে টগর হয়ে বসে থাকে-
ভাবে,চারদিকে কে এমন জ্যোৎস্না ছড়ালো?

পরক্ষণেই সব মিলিয়ে যায়,
জোড়ালো এক ধাক্কায়
চেয়ে দেখে-
তটিনী ছেড়ে ঢুকে পড়েছে কোনো এক নর্দমার নালায়।
শুনতে পায় নাগরিকতার কোলাহল যত
প্রেম দুর্গন্ধময় জলাশয়ে ভাসে,
গলিত লাশের মত।