আজও তার সেই ডানা ঝাপটানোর শব্দ
শুনতে পাই ;
আজও তার নিদারুন বিলাপ কানে বাজে।
চোখে ভাসে রক্তিম আকাশে উড়ে যাওয়া
ডানা ভাঙ্গা একটি পাখি,
উজ্জ্বল কমলা রঙের পাখি।
যে বহুকাল ধরে একটি কলঘরে আটক
সারাদিন ছটফট করছে খাঁচার ভিতর ;
অগ্নিদগ্ধ হতে,জলে ডুবতে কিংবা
সড়ক দূর্ঘটনায় মরে যাবার আশায়।
যার হৃদয় কেউ বহুকাল ধরে শত আঘাতে
করেছে,কয়েক লক্ষ টুকরো,
যাকে নিঃশেষে লেগে রয়েছে
জন্মদাতা ; পালনকর্তা।
যার কষ্টের নেই কোনো ভাগীদার
দুঃখে নেই যার অংশীদার।
যে অভিমানে,কখনো নীড়ে ফেরে না
যার আগল তুলে দিলেও
অচেনা জনের সন্ধানে সে যায়না-
পুরনো বাসস্থান ভুলে।
শুধু আকাশ পানে তাকিয়ে থেকে বলে-
ঐ দেখো মৃত্যু, পাখি হয়ে উড়ে যায়!
একদিন ;
পাখিটা খাঁচার ভেতরে মরে পড়ে আছে।
কে যেনো বলে উঠলো,
ও ছিলো কি কোথাও আগে?
বাসা বেঁধেছিল কি কুঞ্জবনের গোলাপ গাছে?
নাকি প্রিয়জনের খোঁজ নিতে এসে মরে গেল,এই-
সতেরো নম্বর বাড়ির পাশে।