ওরে শ্বেত পাথরে জড়ানো,জয়
হাউজের স্নিগ্ধ মেয়ে
পেছন ফিরে কাহারে খুঁজো বারংবার
আকাশ পানে চেয়ে।
বার সতেরো গার্ডেনে তোর দেখা
নীল,কালো কিংবা আসমানী শাড়ির সাজ
চুপিচুপি ঈশান কোনে কি দেখো?
কবি গুরুর বিখ্যাত সেই ক্যামেলিয়া হাউজ?
সেই দেখা,
এরপরে কতদিন পিছু নিয়েছি তোমার
প্রত্যহ ঘাড়ের পাশে খোঁপায় সেই ক্যামেলিয়া ফুল
কি অপরাধ আমার?
যা ইচ্ছে শাস্তি দাও
যদি তোমার প্রেমে পড়াটাই হয় মস্ত কোনো ভুল।
আমি চাইনি,আগুন ঝরা ফাগুনে তোমায় পোড়াতে,
চেয়েছি,অতি দুর্লভ ভানুর সেই সাঁওতাল মেয়েটির পরিহিত
ক্যামেলিয়া ফুলের এক গোছা নিয়ে দাড়াতে।
যা পেয়ে তুমি,
দিগন্ত পানে চেয়ে প্রাণ ভরে শ্বাস নিবে
তোমার আমার হৃদয়ের উষ্ণ,উত্তাল তরঙ্গে
একসাথে চলবো দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তর মাড়িয়ে।
সেদিন একাকী মধ্যরাতে তোমার ঐ ক্যামেলিয়ার সাথে
পায়চারি করবে এক কবি।
কাড়ি কাড়ি কাঠগোলাপের বদলে দিবে একগুচ্ছ ক্যামেলিয়া।
ফার্স্টফুডের বদলে আলিঙ্গন,গুচ্ছ গুচ্ছ কবিতা
যে বাধিয়ে ফেলবে ভালোবাসার ঋণ
তোমার জন্য থেকে যাবে-
ক্যামেলিয়া হাউজে এক দিন।
তব যদি ভুলে যাও কবিতা
স্মৃতিবিজড়িত হয়ে পড়ে থাকে সেইসব
তবে উষার দুয়ারে দাড়িয়ে দেখবে-
ক্যামেলিয়া মরে গেছে টবে,
পানি নয়,তোমার অভাবে।