‘বদলে গেছি’ আওড়ানো আজ এই আমিটাও তোকে দেখে থমকে গেছি,
কতশত, হাজার বছর তোকে ছাড়াই কাটিয়ে দিলাম, ভাবতে চোখের পাপড়ি গুলোয় জল ঠেখেছি।
যেই ছেলেটা রেগে গিয়ে বকতো তোকে, গালদিতো খুব বিচ্ছিরি সব?
খুঁজলে হয়তো বুঝতি সেদিন, তোর পাশে ওর অন্য কাউকে ঘেন্না লাগে!
যে মানুষটা উঠতে বসতে ভালবাসতো, কারণ ছাড়াই সব আবদার মানতে ছিলো বাধ্য সেদিন?
এখনো সে তোর ব্যাথাতে ডুকরে কাঁদে, বালিশ ভেজায়, রাত্রি জাগে।
লোকের সামনে হাস্যরসের এই ছেলেটা একা হলেই থমকে যেতো, আটকে যেতো স্মৃতির কাঁটায় আষ্টেপৃষ্টে।
মনে পরে? যেদিন ছেড়ে চলে গেলি, মুখের কথা আটকে গেলো, বোকার মতো দু'চোখ ভিজলো, অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম একদৃষ্টে।
এরপর দিন কয়েকের সেকি কষ্ট! খাবার রুচি, ঘুমের সুতোয় জোড়ালো টান,
চোখের নিচের কালচে দাঁগে ক্রিম মাখাতাম, পাছে লোকে বুঝতে পারে,
তারপরে বিশ্বাস কর? ঠিক মানিয়ে নিয়ে হাঁটতে থাকি, মাঝেমধ্যে হঠাৎ যদিও পুরনো মেসেজ ঘাঁটতে যেতাম।
তবুও কাজের ছলে কিংবা মনের পেশির বলে ভুলে থাকতাম,
পার্কে রোজই হাঁটতে যেতাম, কিংবা পাশের সাগর পড়ে একা একা সূর্য ডোবার ছবি দেখতাম।
এই পথে আজ হঠাৎ দেখে হোঁচট খেলাম,
তলিয়ে গেলাম স্মৃতির জলে, বাঁধভাঙা সেই স্রোতের দাপট সামলে ওঠা এতো সোজা?
চোখ ভেজালাম চোখের ভেতর, উপর থেকে মুচকি হেসে পকেটে হাত, জানতে চাইলাম “কেমন আছো?”
উত্তরে তোমার চোখে জল দেখে ঠিক অবাক হলাম!
তবে কি তুমি...? না, না, সেইতো গেলে প্রতিষ্ঠিত প্রেমিকের সাথে তৃপ্তি ছিলো চোখের পাতায়?
তবে যে আজ একা তুমি জরাজীর্ণ, ক্লান্ত শরীর?
ছেলেটা কি তব...?
প্রতিত্তোরে পাল্টা প্রশ্নে কাটিয়ে নিলে,
বললে কেবল ”তোমার মেয়েটা কেমন আছে?”
এই তুমিকে দেখে সত্যি আজকে কষ্ট পেলাম।
শুনতে পেলাম ভেতর থেকে হৃদয় ডেকে বললো আমায়;
সত্যিকারের ভালবাসলে চোখের জলেও তৃপ্তি আছে।।