ওরে চন্দ্রালিকা চীর চপলা রাক্ষসী,
আমি ভুতলে লুটায়ে ক্রন্দনে ডুবি
তোর মুখে বাঁকা হাসি!?
সিঁথানে বালিশ জলে ভেজে আজ,
তুই পোড়ামুখী ধরো বহুরূপী সাজ,
ক্রন্দনে কাঁপে মর্ত্য-পাতাল ঝনঝন ধুলোরাশি,
আমি দিশেহারা তব ক্ষিপ্র দাহনে
তোর কানে সুধা বাঁশি।
রুক্ষ অলকে ঘুরি পাগলের বেশে
তুই উড়ে চল খোলা এলোকেশে,
বিধাতা নীরব সয়ে যাবে সবই আজ?
তোর গগনেতে আজি নব-বরণের তাড়া
সাজিয়াছো সেকি সাজ।
উন্মাদ হয়ে আজি পথে পথে ফিরি
বক্ষে চাপায়ে তাজা আগ্নেয়গিরি,
ঘুমে জাগরণে সহসা খুঁজেছি তোরে,
তোর তাতে কিছু যায় কিছু আসে?
তুই ডুবে মোহ ঘোরে,
আমি সকলেরে “ভুলে যাবো” বলে হাঁকি,
আর তোর চোখে নব-স্বপ্ন পাহাড়
গোনো দিন কতো বাকি।
আমি শক্তি হারায়ে থমকে দাঁড়ায়ে থাকি,
আর তোর বুকে বাজে কতো সুখের দামামা
আমোদিত প্রাণপাখী।
আমি দাড়াবো, হ্যাঁ দাড়াবো! উঠে দাঁড়াবই
দাও, দাও হে বিধাতা শক্তি ঢালিয়া বুকে,
চোখে অগ্নি দেবতার লাভা ঢেলে দাও,
মহা প্রলয় চিহ্ন মুখে।।
১০ আগস্ট ২০২১ ইংরেজি
মঠবাড়ীয়া, পিরোজপুর।