[সৌমেন অনন্তের একটি কবিতা পড়ে,
অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা]
আকাশে আজ কালো মেঘের ডাক ছিলো,
উড়তে থাকা সাদা বকের ঝাঁক ছিলো,
পাশের বনেই খেঁকশিয়ালের হাঁক ছিলো,
শজনে গাছটার ডালেই দুটো কাক ছিলো।
সেই মেয়েটার দীঘল কালো চুল ছিলো,
কানে তাহার ছোট্ট সোনার দুল ছিলো,
খোঁপায় গোঁজা রক্ত জবা ফুল ছিলো,
সেই মেয়েটার বুঝতে বেজায় ভুলছিলো।
সেই মেয়েটার শরীর ছিলো জানতো না,
জানলে কি আর, মায়ের বারন মানতো না?
সেই মেয়েটার মাংসো গায়ে, বুঝতো না,
সেই মেয়েটা এতো কিছু খুঁজতো না।
সেই মেয়েটি পথ চলেছে নির্জনে,
পথে ধারে কুকুর ছিলো, কে জানে?
হঠাৎ করেই কুকুর গুলো তার পানে,
ঝাপিয়ে পরে খুবলে খাচ্ছে প্রাণপণে।
সেই মেয়েটার আকাশ ফাটা আর্তনাদ,
দেখলোনা কেউ, করলোনা কেউ দৃষ্টিপাত,
কুকুর গুলোর অট্ট হাসি উল্লাসে,
সেই মেয়েটি কাঁদছিলো, কার যায়-আসে।
সেই মেয়েটার আজ সকালে স্কুল ছিলো,
সেই মেয়েটার মেয়ে হওয়াই ভুল ছিলো,
সেই মেয়েটার দীঘওওওওল কালো চুল ছিলো,
সেই মেয়েটার, মেয়ে হওয়াই ভুল ছিলো।
©সেই মেয়েটি
০১-০৭-২০২০ ইংরেজি
মঠবাড়ীয়া, পিরোজপুর, বরিশাল