একটা আকাশ স্বপ্ন দিলাম তোকে
দেখতে পারিস যেমনটা তুই চাস,
হাটতে দিলাম দিগন্ত পথ জুড়ে
লাগিয়ে গায়ে বসন্ত বাতাস।

ওইযে দূরে গাঁয়ের মেঠো পথ
তার অদূরে ছোট্ট কুঁড়েরঘর?
থাকবি সেথায় আমার সনে ওরে
রইবো দুজন সারাজীবন ভর।

আমার সকল ভাবনা জুড়েই তুই
তোর মনে কার নামটি করে বাস?
এইতো সেদিন কাঁদলি নাকিসুরে
আমারতো ভাই ওতেই সর্বনাশ।

তোর দুঃখে মোর পরাণ দিশেহারা
আর আমার বেলায়? উপহাসের ঝড়,
মিথ্যে মায়ায় আর কতো আগলাবি
বুঝেই গেছি নিছক বালুচর।

তবুও চেষ্টা আঁকড়ে থাকার তোকে
জানি সেসব বৃথাই ভাবনা মোর,
যাবি চলে দূরের কোনো দেশে
কাঁদবো আমি কাটবে যখন  ঘোর।

এমনি করেই কাটবে বছর পাঁচ
চলবে জীবন তুই ছাড়া-ই একা,
পরিবারের মান রাখিবার তরে
হয়তো পাবো নতুন কারো দেখা।

সেই মানুষটা বুঝবে না তোর মতো
হয়তো সেও অন্য কারোর প্রাণ,
যেমনি করে পালিয়েছিস তুইও
নতুন নীড়ের সন্ধানে অম্লান।

চেষ্টা থাকে মানিয়ে নেয়ার তবু
কি আর করার, পরিবারের সুখ,
এমনি করেই স্বপ্ন গুলো ভাঙে
চাপা কষ্টে কুঁকড়ে থাকে বুক।

শরীর খোঁজে শরীর ছুঁতে মোহে
প্রণয় তখন কলো চাদর ঢাকা,
অতীত ভুলে ক্ষানিক সুখের টানে
নতুন করে আবার ভালো থাকা।

নতুন প্রাণের খবর আসে শেষে
সবার মনে উপচে পড়ে সুখ,
সব ভুলে যাই এক নিমিশেই আজি
দেখি যখন নতুন প্রাণের মুখ।।

©অতীত বিসর্জন
১৮-০৬_২০২০ ইংরেজি
মঠবাড়ীয়া।