বিশ্বজুড়ে ঝলসে পুড়ে আপন আপন খেলা,
বুঝবি কে সে দিনের শেষে ফুরবে যেই বেলা।
আত্মা বলিস স্বত্বা বলিস কলজে বলিস তবু,
আপন হবার ভান করে বেশ হয়না আপন কভু।
আপন কি তাই বুঝিই'নি ভাই ঠুনকো তাসের ঘর?
এই এলেম এই গেলেম বলা নিছক বালুর চর।
ঝড় হবে ঝড় ঝাঁপটা হবে গর্জে গগনময়,
ভুল বোঝা বা দোষ খোঁজা সে কেমন আপন হয়?!
গল্প ছলে তর্ক বলে কথার দুচার ঘা,
তাই বল কি গায় সহে না, বলবি “ধুরো যা!”
যাক তাহলে হৃমহলে সেঁদিয়ে চটির দাগ,
বলছি মনে সংগোপনে এই নে, হলেম ভাগ।
যার কেহো নেই এই ধরাতেই সেও থাকে ঠিক বেঁচে,
ঠায় পরে কার ঘৃণার পাহাড় মাখবো গায়ে যেচে।
যে জন যাবার যে হারাবার সেতো যাবেই জানি,
থাক প্রতিঘাত মিথ্যা আঘাত ঝরুক চোখের পানি।
দিনে দিনে মানুষ চিনে শক্ত করবো হিয়া,
মিথ্যে মায়ার ছিড়বো বাঁধন কষ্ট পাথর দিয়া।
সরল মনের তরল চুঁষে দোষ ছেঁকে বেড় করো,
স্বচ্ছ কাঁচেও দাগ খুঁজে পাস, উন্মোচনের পরও।
পর কখনো হয়না আপন প্রাচীন প্রবাদ বলে,
যতই তারে হৃদ মাঝারে আগলে রাখিস ছলে।
স্বনির্ভরে প্রবল ঝড়ে শির উঁচিয়ে দাড়া,
দেখলে তোকে থমকে গিয়ে চমকে উঠুক তারা!
এই কারনেই খুব বারণেই রবি ঠাকুর বলে,
বুকের পাজর জ্বালিয়ে নিয়ে আপন মনেই জ্বলে।
ভালো থাকুক সুখে থাকুন মিথ্যা আপন সবে,
জীবন তোদের ভরুক সুখে হাসির কলরবে।।
©আত্মা-বিসর্জন
২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইংরেজি,
সময়ঃ ৩:৪৪ রাত,
ফয়সাল টাওয়ার, শাহজালাল আবাসিক, নয়ারহাট।