মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গির্জা— সবকিছু বাড়ছে,
সেখানে ভক্ত-নামাজীর উপচে পড়া ঔৎসুক্য।
কিন্তু, পালনকারীরা কি ধর্ম লালন করছে?
যদি লালনই করে...
তবে, মন্দিরে হামলা হয় কেন?
বাবরি মসজিদেই বা কেন রাম মন্দির?
আর, রোহিংগারাই নিজভূম রেখে করুণা-পাত্র কেন?
প্রশ্ন রেখে গেলাম!
রাস্তা-ঘাট, ইন্টারনেট, মোবাইল-টেলিফোনে ডুবে আছি,
চার লেইন আর ফোর-জি নেটে সয়লাব গোটা দুনিয়া।
কিন্তু, মানুষে-মানুষে যোগাযোগ কি বাড়ছে?
যদি যোগাযোগই বাড়ে...
তবে, কাছের মানুষগুলো এত অচেনা কেন?
পিতামহ ঈদের ছুটি ছাড়া নাতির দেখাই বা পায় না কেন ?
আর, সন্তানের মন খারাপের আপডেট ফেসবুকে পাবো কেন?
প্রশ্ন রেখে গেলাম!
প্রতিদিন লক্ষ-কোটি নারী গর্ভবতী হচ্ছে,
প্রসব বেদনায় প্রাণ ওষ্ঠাগত করে বাচ্চা জন্ম দিচ্ছে।
কিন্তু, জনসংখ্যানুপাতে মানুষ কি বাড়ছে?
যদি মানুষই বাড়ে...
তবে, নবজাতকের লাশ কুকুর খাবে কেন?
ঔরশজাত দুহিতার যৌবন পিতার কাছেই বা দলিত হবে কেন ?
আর, বৃদ্ধাশ্রমে আমার মাতৃ-পিতৃস্নেহ গুমরে যাবে কেন?
প্রশ্ন রেখে গেলাম!
আধুনিকতা কথার মারপ্যাঁচে,কথায় কথায় ইংরেজি আওড়ানো,
বসন-ভূষণে প্রাশ্চাত্য; লাস-ভেগাস হচ্ছে দুনিয়াটা।
কিন্তু মূল্যবোধে কি সভ্যতা আসছে?
যদি সভ্যই হই...
তবে, পারমাণবিক মজুদ কেন?
দু’-দু’টা বিশ্বযুদ্ধই বা কেন,কার জন্য?
আর,মৌলিক চাহিদায় ব্যার্থ দেশ ট্যাংক কিনবে কেন?
প্রশ্ন রেখে গেলাম!
স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় দিন-দিন ছাত্র বাড়ছে;
নতুন নতুন ডিগ্রীর দিগ্বিদিক ছুটোছুটি।
কিন্তু, ডিগ্রীধারী মানুষগুলো কি আদৌ শিক্ষিত হচ্ছে?
যদি শিক্ষিতই হই...
তবে, কানে হাত না দিয়ে চিল খুঁজছি কেন?
পরিশ্রম বিনে অঙ্গুরীয় ধারণেই বা ভাগ্য বদল চাই কেন ?
আর, লাশ না থেকেও বায়েজিদের মাজার চাটগাঁয় কেন?
প্রশ্ন রেখে গেলাম!
ঘরের পাশে ঘর উঠছে— কিছু পাকা, কিছু কাঁচা;
কিন্তু প্রতিবেশী কি বাড়ছে?
চকলেটের প্রলোভনে শৈশব হারালো একটি আগামী;
কিন্তু, সে কি আজ মিষ্টতায় আঁৎকে উঠে?
প্রতিবছরই তো কোরবানি করছি লাখ-লাখ পশু;
কিন্ত, পশুত্ব কি কোরবানি হয়েছে?
প্রশ্ন রেখে গেলাম!
জানি! এসব প্রশ্নেরা উত্তর হয়ে আসে না।
বরং, প্রশ্নগুলো আরো অনেক প্রশ্নের জন্মদাত্রী।
তাও, সেই উত্তরবিহীন প্রশ্নগুলো আগাম রেখে গেলাম!
19/11/2019