বর্ষার শেষ আর শরতের শুরু
প্রকৃতির অবকাশ নেই,
শরৎকে ঢেলে সাজাতে হবে -
মহোৎসবের জন্য।
শ্বেতরঙা কাশ ফুল শিউলি ঝরা হাসি,
শরতের স্নিগ্ধতা যেন পরিপূর্ণ।
নীল আকাশে পেঁজা তুলোর আবির্ভাব ,
উৎসবের শামিয়ানা স্বরূপ।
নদীর ধারে ঢেউ খেলানো হাওয়া,
পদ্মফুলের অপেক্ষায় থাকে।
ঢাকের বাদ্যি - মনভোলানো শব্দে
মায়ের আবাহন স্পষ্ট।
পুজোর ছুটির অজুহাত আর -
নতুন জামার স্পর্শে মাতোয়ারা নবীন প্রাণ।
মহোৎসবের মহাপ্রাঙ্গণ যেন,
জাতি-ধর্ম ভেদাভেদহীন মহা মিলন মেলা;
খাদ্য রসিক বাঙালির প্রাণভরপুর ভোজনে
সুসজ্জিত বেশে মাতৃদর্শনের অক্লান্ত ইচ্ছা;
আলোর রোশনাই আর প্রাণচঞ্চল শব্দে,
উৎকন্ঠিত হয় বাংলা ও বাঙালি।
উৎসবের দিনগুলো কেটে যায় ঘোরের সাথে।
ঢাকির দলের ফেরার পালা বাড়ির পথে।
চোখের জলে ঝাঁপসা হয় মন,
মাতৃ আরাধনা শেষ হয় বিসর্জনের সুরে।