কি করে বোঝাই বলো
শব্দের এত অভিমান, এত লুকোচুরি খেলা।
লোকে বলে, শব্দ নাকি নিরাকার, ব্রহ্ম।
একবার উপুড় হয়ে পড়লে আর নিস্তার নেই।
ট্রিগার একবার চেপে ধরলে –
গুলি তো বেরোবেই, যদি না মরচে ধরে থাকে ঐ পথে।
তাও কি কেউ শোনে!
ট্রিগার টিপবেই ; টিপতেই থাকবে মনের সুখে।
যেন রাগমোচনের ক্ষণিক আনন্দের শিহরনে,
উল্লসিত সারমেয়কূলের রাত্রের চীৎকার।
শান্ত নিরিবিলি শব্দের, শবদাহের প্রস্তুতি।
ব্যবহারে অনিচ্ছা তো –
থাক না।
কেউ তো কালীর দিব্যি দেয় নি, যে
শালপাতাতেই খেতে হবে রাতের খাবার !
গন্ডীর গান্ডুরা আজ অস্তিত্বে বিপন্ন।
শব্দেরা থাকে যেন সেই দুধে ভাতে।
উপজ্ঞার জড়িমায় বন্ধকী, শব্দের প্রবাহ।
শব্দের পাখীদের উচ্চকিত শিস –
এদের দুঃসহ রাত্রির নিকষ অন্ধকার।
পাখীরা উড়বেই।
মুক্ত শব্দের গতিময় হাওয়ায় হাওয়ায়।
পরিযায়ী শব্দেরা আসবেই ডান মেলে।
ভোর হবেই।
“আমরা করবো জয় নিশ্চয়...”
@গৌতম দত্ত
১৩ই জুলাই, ২০১৫