এই ছিলো তোর মনে ?
সেদিন আমের বনে –
বর্ষা যখন উথাল পাথাল
ডাক পাঠালি তুই।
কেমন করে যাই – ?
তোর কাছে তো বৃষ্টি ছিল –
সবুজ সবুজ পাতার ফাঁকে,
রোদ যেন সে, লজ্জা ঢাকে,
শ্রাবণ মেঘের উতল ঝড়ে
বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে।
টুপ টুপ টুপ আওয়াজ নিয়ে
ঘরকন্না ছেড়ে দিয়ে –
হঠাত কেন ডাক দিলি তুই,
সেদিন অমন করে ?
ভেসে আসা ডাকের সুরে –
মনটাকে তুই, নিজের করে
আনলি আমের বনে।
তোর সে ডাকে, মাতাল হাওয়া
বলল আমার কানে –
এক্ষুনি যা, এক্ষুনি যা –
নইলে যাবে বৃষ্টি ধরে
শ্রাবণ মেঘের আকাশ ভরে -
রোদ উঠবে হেসে।
বকুল পারুল কদম গাছে
ভিজে বাতাস থমকে আছে –
পাতার মুখে জল টুপটাপ
এই খসল ব’লে - ।
তোর সে চোখে অবাক চাওয়া
পিঠের ওপর সে কোন মায়া –
টানলো আমায় তোর দিকে, তাই
ছুটে গেলাম কাছে।
বৃষ্টি ভেজা সারা শরীর
জল থই থই হলদে নদীর
বাঁকে বাঁকে ফুটে আছে –
কত দোলনচাঁপা।
এক এক করে স্পর্শ নিয়ে
চোখের পাতায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে –
বুক ভরানো গন্ধ নিয়ে,
থামল আমার মন।
তোর মনেতে তোর শরীরে
মিশে গেলাম ধীরে ধীরে –
বৃষ্টি এল তুফান তোড়ে –
অন্ধকারের সাথে।
নাম-না-জানা সে কোন পাখী
শীষের সুরে জমিয়ে দিলো -
মেঘমল্লার রাগ।
তুই তো তখন জাপটে ধরে –
চুমোয় চুমোয় আঁজলা ভরে,
নিঙড়ে নিলি আমার মনের
গোপন যত দাগ।
@ গৌতম দত্ত
২১ শে জুলাই, ২০১৫