বয়স বাড়ছে ক্রমে –
পৃথিবীর রঙ উজ্জ্বল থেকে ধূসর হচ্ছে
আমাদেরই চোখে।
স্বপ্ন, প্রেম, আবেগ, দুঃখ, আনন্দ
এসবও কি মলিন হতে হতে -
অজানা সেই দ্বীপের দিকে ধাবমান ?
এও কি বয়সের পায়ে পায়ে চলা এক –
ছানিপড়া মানুষের দৃষ্টির মত
ঘোলাটে থেকে আরো ঘোলাটে হয়ে
অন্ধকারে কেড়ে নেবে -
জীবনের সব রঙ।
বটের ছায়ায় বাড়ে সুশীতল স্নিগ্ধতা
যতই প্রাচীন হয়।
পৃথিবীর সব রূপ ফিরে ফিরে আসে
কচি অশ্বত্থের পাতা মেলে –
নীল আকাশের গায়,
এখনো পাখীরা ওড়ে -
দিগন্ত আলোকিত হলে প’রে।
পৌনঃপুনিক বৃত্তের চারধারে পাখা মেলে উড়ে -
সন্ধ্যেয় ঠিক ফিরে আসে ঘরে।
তবে কেন নরম নরম মনে
জন্ম নেয় বহুরূপী,
বয়স বাড়লে পরে।
চাঁদ বুড়িটির মত
সাদা সাদা পেঁজা মনে
কেন লাগে কালচে রঙের দাগ ?
নিজেদের হৃদয় কি খুনে ভরা রক্তের মতন
ফোঁটায় ফোঁটায় ঝেড়ে ফেলে –
সব কোমল সারগম গুলো।
আর তারপর নিজের প্রয়োজনে, নিতান্ত নিজের প্রয়োজনে
পান্ডুলিপি ভেসে যায় কবির সে “বেনোজলে” ?
@ গৌতম দত্ত
২৮/০৫/২০১৫