হৃদয়ের সুর যায় কি পুরোটা শোনা
নদী যদি বয় সোজাসুজি এক খাতে
নানান বর্ণে বাগানের ফোটা ফুলে
কত না ভোমর উড়ে উড়ে ছবি আঁকে।

পরাগের রেনু বাতাসে ছড়িয়ে দিয়ে -
পাপড়ি পাঠায় হাজারো রঙীন চিঠি
মধুলোভী যত মধুপিয়াসীর দল
ঠিক খুঁজে পায় ছন্দের পোড়ামাটি ।

অগুন্তি এই মধুপিয়াসীর ভীড়ে
ফুল কি কখনো হয়ে যায় দিশেহারা ?
তবে কেন শুধু আমাদের পথে বেড়ি ?
কত না দ্বিধায় স্বাভাবিক বোঝাপড়া !

কত যুগ আগে ছিল সে অমরাবতী
ছিল না তো কোনো সংশয়, ভীরু দাগ
আধুনিক হয়ে জীবনে এসেছে ভয়-
কখনো যদি বা পিছু ফেরে অনুরাগ।

দোলাচলে আজ ঘিরেছে মনের শব
সহজ সরল হারিয়েছে তার ভাষা
চাতুর্য আজ অকৃপণ পাখা মেলে
মনের শিরায় শিকড় গেড়েছে খাসা !

ভালোবাসা আনে মুক্তির খোলা হাওয়া
এ ভাষা বুঝতে আরো কতো দিন বাকি ?
পরিণয়নের আনন্দে কি শুধু রাত ?
দেহে আর মনে থাকবে এতই ফাঁকি ?

সে দুটি মনের আলো যদি ঠিক জ্বলে
তবে কেন শুধু মিছিমিছি আলোছায়া
যদি ভেবে নাও অনেক মনের ভিড়ে
হারিয়েই যাবে, নিজস্ব চাওয়া পাওয়া।

এতই পলকা ! আমাদের পোড়া মন ?
বিশ্বাস তবে ঠুনকো কি, সাত পাকে ?
তবে কেন শুধু প্রাণহীন পথ চলা ?
শুকোবেই নদী যদি না প্রবাহ থাকে।

ভরা মন যদি শরীরের ভাষা খোঁজে
যেমন খুঁজেছে কোনার্ক বা খাজুরাহো
সেটাই কি শুধু জীবনের মাপকাঠি ?
তবে কেন ভয় মনেতেই অহরহ।

সুরাহার পথ তবে কি শুকনো পাতা -
খুশীর আবেগে শুধু যাবে উড়ে উড়ে
মুগ্ধ আবেশে দুজনা’র দুটি চাওয়া
হারিয়েই যাবে ! সে কোন অচিনপুরে ?

পলাতকা পথ মিলবেই জেনো শেষে
হয়তো তখন মাঝরাতে ভোর হবে –
পঞ্চমী রাতে জ্যোৎস্নায় ভরা বিধু
আনবেই আলো মধু-ঋতু-উৎসবে।

@গৌতম দত্ত
২৩/০৪/২০১৫