বাইরে জমাট অন্ধকার ডুবো ডুবো
শহরের রাজপথ, অলিগলিতে নিঃশব্দতা করে চলেছে পদচারণ।
বাতাসে মিশেছে চারশত বছরের নগরীর গর্বিত ইতিহাস
নিয়নের হলুদে ভেসে আসছে কত পাওয়া না পাওয়ার উপাখ্যান।
হাত বাড়িয়ে যত সামনে যাই অন্ধকারে
কেউ পরিয়ে দেয় কালো সানগ্লাস,
যেন এ নগরে তুমি আছো, কেউ তোমায় কিছুই বলবে না
কিন্তু যা কিছু দেখেছ ভুলে যাও মধ্যরাতে
প্রভাতে কর না তার স্মৃতিচারণ।
সদূরের স্টেশন হতে আসছে ভেসে ট্রেনের হুইসেল
নীরবতা ভেঙ্গে খানখান রাতের মধ্যমা,
পায়চারি করা অব্যক্ত ব্যধনা কবিতায় বসার আগেই নগরের ময়দানে করে সমাবেশ
দাবি উচ্চারণ করে শব্দের বিভক্তি, বিভক্ত করে কবি ও কবিতার গভীর মমত্ববোধ।
অবাক হয়ে মর্মবাণী শোনে না এ বৃদ্ধ নগর
নিশিকন্যার অবাধ পারাপার নির্দোষ করে তোলে
বহুগামী পুরুষের রাতের বিছানা,
নিশিকন্যার অবাধ পদচারণা
তবু কলঙ্কের তিলক হয়ে যায়।
রাতের নিস্তব্ধতায় ল্যাম্প ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকে সময় ঘণ্টা মিনিট সেকেন্ড
দামী ঘড়ির আড়ালে এ শহরের উদারতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে,
উত্তর খোঁজার পূর্বেই ভোরের আলো পাল তুলে পূব আকাশে।
সত্যি কিছুই দেখিনি কালো সানগ্লাসে
কিছুই বুঝিনি অন্ধকার হাতড়ে হাতড়ে,
কেবল অনুভব করেছি ভীষম তন্দ্রাতে
তন্নতন্ন করে পঞ্চেন্দ্রিয় খুঁজে পেয়েছে
এ অন্ধকার নগরীর মসৃণ বুকে
পূর্বপুরুষের বাৎসল্য ভরা আশীর্বাদ।
(২৭শে মে, ২০১৯)