কতটা করেছ নিবৃত উজানের ঢেউ
তোমার বারান্দায় মুঠোভরা আলো দিয়েছিল কেউ।
স্বর্গাগত মোহিনীমলয় দিয়েছিল আলো। দিয়েছিল শুষে নেয়া অনাবাদী রক্তপ্রভাত। তোমার ভুলেভরা যাত্রা পশ্চিমের ঋতুবতী বৃক্ষের কাকুতির পায় আলোক নেশায় ঝরা পুষ্পিতকঙ্কণ, চোরাবালিতে হয়েছে সমাগম।
তোমার রূপ এখনও টানে আমায়, তোমার মৃদুল রক্তজবায় লোহিত পায়েরছাপ, এখনও হৃদয় মন্দিরে ঘণ্টা বাজায় রাতদুপুর। তুমি কল্পলোকে তন্দ্রা এনে শোন, তোমার লাজুক চোখের অমৃত স্নিগ্ধ চাহনি কোনো, ইন্দ্রজালে আটকে গেছি আমি। সমুদ্রহীন এ জীবন কত আর তোমার ফেলে আসা পথ ধরে হাটে। তবুও তুমি ছিলে মাঘের স্নানে আমার সহচর, শরতের শুভ্রমেঘে ইথারে ভাসা রবীন্দ্রগীতির । তোমার কণ্ঠ এখনও বাজে কর্ণকুহরে সকাল সাজে, ভরাট গলায় তোমার 'চিত্রাঙ্গদা' আজও ভুলিনি। এখানে আমার সব আছে,
সকালের আলো খেলা করে চরণমূলে কাছে। রংধনু কপালের প্রস্থনাদে সাতরঙ ছুঁয়ে যায়। সোনার আয়নায় দেখি অরুণোদয় দিন। তবু তোমার তুমিকে পাই না, বলো কবে হবে সেই দিন শেষ, শ্বেতচন্দনে মাতালবায়ু, ধূপের সুবাসে পুষ্পরথ জয়ী জীবন মহাজীবনে করবে প্রবেশ।
পরজন্ম যদি সূর্যোদয়ে হয়, অনুরাগের কোমল উষায় অপেক্ষার সন্ধিক্ষণে দেখবে আমার জয়। তোমার ভালোলাগা কণ্ঠে করছি আবৃত্তি এ জীবনে তোমায় হারানো ব্যঞ্জনা, পূর্বজন্ম হয়ে রবে শুধু কালের অপচয়।
(২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯)