আহা সোনার মুখ ! কবিতার মতই বিরল
উড়িতেছে চিল এক আকাশের গহীন নিসীমে
টান টান উঁচু শির , বিস্তীর্ণ সবুজের সোনার ফসল
কোথাও বা নির্জণ একাকীনি মাঠ-
ঝিকি মিকি জ্বলিতেছে শিশিরের মুখ ;
অজস্র ঘাসের ফুল শুনিতেছে কান পেতে -
দূরাগত ডাহুকের ডাক ।


নির্জণ মাঠেরা আজ ঘুঘুদের কোমল আসর
কাহার বিরহে যেন করুণ বিবুক্ষায় ডাকে -
ডেকে যায় বিষণ্ণে - ভালবেসে জোনাকিরা
আঁধার যেমন ..............................।

বিমল বাতাসে দোলে কৃষকের প্রেম রাশি রাশি
কৃষাণ বধূর চোখ বড় বেশি মায়াময়
বুনে যায় অনাগত আগামী স্বপন ,
কোথাও রোদের ডানা চুমে যায় বুক তার-
সবুজের রুপসী  এক নারীর অধর ।


একদিন এই মাঠ জেগে রবে অবিরল
হলুদ কুমড়ো ফুলে সাজবে বাসন্তি মেয়ে
কোথাও পলাশে রাঙ্গা ভরে যাবে ডাল
শিমুলের রক্তিম আভা  ডাকবে সকাল ।

তখনো ডাকিবে কী কিশোরী ডাহুক
ঘুঘুটি খুঁজিবে তার বিরহীনিকে ?
হয়তো রাখাল ছেলে ধেণু তার লইবে বাঁথানে
আনমনে কেটে যাবে মুগ্ধ প্রহর ।

হয়তো উড়িবে এক সাদা গরু বক -
আমায় খুঁজিবে সেথা
মুছে যাওয়া আলোটুকু
এই মাঠ পড়ে রবে শুধু নির্বাক !

*** ১৪/২/১৮***