অনুভুতি

ফেইসবুক খুলে দেখলাম তার ছবি
ফুল স্ক্রিন বড় করে দেখি তার ঠোঁট
যেনো একটি সতেজ ফুলে মিহি রোদ
তারপর আলতো করে ঠোঁট মেশালাম
এই অনুভূতিহীন কপাটে।

মনের সমাজ

এক পশলা বৃষ্টি যখন ছুঁয়ে যায়
ধুলোগুলো মুছে প্রকৃত ফুল হয় উজ্জ্বল
আমরা সবাই গাছ দেখি
গাছের প্রণয়ের মতো স্থির থাকে ভেতর
অন্তরাত্মা অদৃশ্য বাতাস হয়ে ছুঁয়ে ফেলে ফুলসহ
গাছ ও পাখির কলরব
মনের অবাধ সমাজ-
এ সমাজের মতো নিয়ম মানে না।


হৃদয়

আমি অগোচরে গেলে- সে থাকে
তুমি যাকে একদিনও দেখনি
'হৃদয়' আমাকে তা বলেছে।

গলি

পাহাড়ে অন্ধকার পথ নেই
শহরের আলোতেও অলি-গলি অন্ধকার
আলোকিত মানুষের জন্য শহর বাঁচে
অন্ধ গলির কেউ এলেই
পাহাড়ি পথ অন্ধকার হয়ে যায়
প্রকৃতি পালিয়ে যায় পেছনে- শহরের মতো।


ছিন্ন প্রেম

সকালে দেখি বালিশটা শ্যাঁতশ্যাঁতে
তবে কি রাতটা তার
ছিন্ন প্রেমের অভিসার?
মন ভার- মন ভার
শরীর আর নাক-মুখে
ভেতরের কথা তার।


উচ্চতা

দশ তলা ইমারতের মালিক তার উচ্চতা নিয়ে খুশি
পাইলট তার একতলা স্মার্ট ফ্যান্টাসি নিয়ে ঘুমোয়
ইমারত শ্রমিকেরা উচ্চতা বোঝে না, উচ্চ ইমারত গড়ে
ইমারত মালিকের উচ্চতা শুধু পোড়া মাটির দাম আর
পাইলটের উচ্চতা ঘুমের মতোই নিরব।


অপ্রকাশিত যৌবন

অথচ বিয়ের আগে রাজরানি-রাজপুত্র অহরহ
দেমাগে রতি-মহারথী- মননে সুন্দর অনুগ্রহ
একবারও জানে না হৃদয় কার কাছে বশ্ মানে
যে হয়েছে বশ্ সৌন্দর্যের আবশ্যিকতা সে জানে
যৌবন এক শিল্প- সুন্দর পৃথিবীরও ছবি
মর্মহীনতায় সে কেবল এক অপ্রকাশিত কবি।


যোগ

যখন পরিস্কার রাতাকাশ তারাগুলো স্থির
দেখে-ভেবে, মানি তুমি মহা-কর্মবীর
অনাবৃত আলোরা যেখানে রাত-বিড়ালের চোখ
আর আকাশের দুই দিগন্ত যেনো আলোর ধনুক
চাঁদ সেই তীরে বিদ্ধ ছুটেছে পুব হতে পশ্চিমে
জোৎস্নারা থেকে যায় তোমার প্রেমের আফিমে
তুমি কোনো শ্রেণি নও মনের জাঁতে অদৃশ্য হাওয়া
এই যে বেদনা প্রাপ্তি, সেটাই কী তোমাকে পাওয়া
যদি সব রং-তুলি-কলমের ভেতর থেকে আঁকো
কেনো আমাকেই বা এই অস্পষ্ট ইংগিতে রাখো
মেঘ হাওয়াচ্যুত হলে যেমনি বৃষ্টি পড়ে
মনচ্যুত হলে আমিও পাড়ি দেই উপরে
এখানে পেয়েছি নাকি ওখানেই পাবো সবই
জানি- রিপুর ফসিল আমিও আদমের ছবি।


ব্যবধান

সব সমাজের স্বকীয়তা আছে
সব বাড়ি- সব ঘর ঠিক তেমনি
সব বাড়িতে ফুলের বাগান নেই
গাছ-উঠোন-ছাঁদ এক নয়
সব ঘরেরই ইন্টেরিয়র আলাদা আলাদা
এমনকি সুখের সাবলীলতাও-
এ কেবল মেয়েদের বিয়ে দেবার পর বোঝা যায়।