হরি হর রায় বাইকেতে যায়
সুট বুট হ্যাটে, গায়ে কোর্ট আছে,
চোখে কালো চশমা, পায়ে মোজা
সন্ধান নিচ্ছে কোথায় কি হচ্ছে?
গোপনে রেখেছে পিস্তল
হাল হাতাড় নেই, নেই কোন সম্বল,
দশ বার জন গুন্ডা বাজ, নেই কোনো কাজ
আছে শুধু লোটা কম্বল!
আর আছে প্রত্যেকের বাইক একটি করে
চশমা চোখে যখন চলে লাইন ধরে,
যেন বাবার আছে জমিদারি,
হাতে ফ্যান্সি রুমাল একটি করে!
প্রত্যেকের বুক পকেট এ সিগারেট দেশ্লাই
বিড়ির কোন নেই বালাই,
আছে গোপনে একটি করে আগ্নেয় অস্ত্র
গোটা এলাকা টা জানে তারা সবটাই!
প্রত্যেকের কলম বুকে, ঘড়ি হাতে
কী সুন্দর টেরি খানি!
কী বাহার! এলাকার সব মানুষ জানে
তারা কি যন্ত্র খানি!
চশমা চোখে ঘড়ি হাতে, বাইক চেপে
যখন যায়, কী বাহার হায়!
কে ওরা! সামনে পায় হেঁটে যায় যারা,
তাদের মহিমা বোঝা দায়!
মস্তান মানে না বিধি-বিধান,
সে চলে সামনে, তাকায় না পিছনে,
যা ঘটে ঘটুক না এখন!
ভয় নেই জীবনে,লড়তে চায় সামনে!
একদিন মস্তান হরিহর রায়, বাইকেতে যায়।
সঙ্গে আছে দশ বার জন,
তারা বাইকেতে যায়, কোনো দিকে নাহি চায়,
মস্তানের পিছনে ছুটছে হন হন!
যায় বহুদূর, মাঠ হাট-বাজার গঞ্জ
দূর দূরান্ত, নদী খাল বিল পার হয়,
অবশেষে রাত এগারো টায় থামল বাইক
নামলো মস্তান, রাজনগরের আবরণী বস্ত্রালয়!
কর্মচারী সবাই প্রায় চলে গেছে, আছে মালিক
গোছ গাছ প্রায়, গেট ফেলতে যায়,
মস্তান ইঙ্গিত করল, দশ বারোজন ঝাঁপিয়ে পড়লো
প্রত্যেকের সামনে আগ্নেয় অস্ত্র, হতবাক প্রায়!
এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকলো সবাই-
মুখে কথা নাই, একি বিপদ হায়!
মস্তান যেভাবে বলল মালিক কে
তাই করতে হলো, ভরল মোস্তানের বাইক ব্যাঙ্ক,
সহসা ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে, মালিক ও কর্মচারী
শিউরে উঠলো, সৃষ্টি হলো আতঙ্ক!
মস্তান নির্দেশ দিল, কর্মচারীদের বাইকে
তুলে নিল, অবশেষে মালিক কে নিল মস্তান,
চলতে লাগলো বাইক গুলি, পার হল বাজার গঞ্জ
মাঠ হাট, কোন দিকে দিলো না কান।
বাইক থামলো গিয়ে ফাঁকা মাঠ, নামিয়ে
দিল মালিক-কর্মচারী, হায় একি হয়রানি!
মস্তান বলল- আসি, "আবার দেখা হবে;
চলল বাইক গুলি! এমনি রাহাজানি!
রচনা -০৫/০৮/২০১৭