হরি হর রায় ছক কষলো এবার
দাদপুর শহরে থাকে এক পরিবার,
শাশুড়ি বৌমা দুজনে পাঁচ দিন থাকে একটানা
ছেলে পাঁচ দিন থাকে না ঘর!
ছেলে চাকরি করে বহু দূরে, মস্তান
হরি হর রায় সব খোঁজ খবর নেয়,
যেতে হবে দাদ পুরে পুলিশের সাজ পরে,
মস্তান তার বাহিনীকে নির্দেশ দেয়!
মঙ্গল বারে পুলিশের সাজ পরে,বাইক
বাহিনী ছুট দিল দাদপুর শহরে,
সেকি ভীমা মূর্তিতে ধায়! হরি হর রায়
বাইকেতে আগে আগে যায়,
পুলিশের সাজ পরে
কত মাঠ ঘাট পার হয় বাজার হাট, অবশেষে
সবাই থামল গিয়ে দুপুরে, দাদপুর শহরে!
মস্তান নামলো, সঙ্গে চারজনকে নিল, কলিং
বেল টিপল শাশুড়ি মার হলো না বিশ্রাম,
ছুটে এসে দরজা খুলে দিল, তাকিয়ে দেখল,
ভাবল -"আমি একি করলাম;
ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকলো, ভাবল-
"কেন পুলিশের আগমন অসময়ে ঘটলো;?
ফাইল খুলে কাগজ ঘাটলো, খুঁজে শমনের
কাগজ বের করল, মস্তান শমন ধরিয়ে দিল।
শাশুড়ি মা হতবাক হলো, মস্তান ইঙ্গিত করলো
লাফিয়ে পড়লো বাহিনী শিকারের উপর,
পিস্তল ধরল বৌমা শাশুড়ি মার বুকের ধারে
মস্তান গয়না গুলার উপর দিল নজর।
সেকি আস্ফালন! প্রাণে লাগে কম্পন,
"জীবন চাস না সোনা চাস, সেটা বল এখন;?
জীবনের দায়ে প্রাণের ভয়ে চিন্তা করলো না আর
সোনাদানা সব ফেলে দিল তখন।
বাইক বাক্সে সোনাদানা দশ ভরি পুরে
দিল সব, বাইকে মস্তান চলল,
সঙ্গে নিল শাশুড়ি মাকে, শাসিয়ে দিল
বউ মাকে,চুপচাপ থাকতে বলল
চলল বাইক বাহিনী, মাঝে থাকল মস্তান
দু কিঃমিঃ দূরে ফাকা জমি দেখে,
নামিয়ে দিলো শাশুড়ি মাকে। বলল-
"বিদায় বুড়িমা, ভালো থেকো যেওনা বেঁকে;!
বছর পড়লে দুর্গা পুজা এলে,পাড়ার
চাঁদার ফরমান জারি হয় ঘরে ঘরে,
দোকানে দোকানে জনে জনে! কন্ট্রাকটর
হোলসেল ডিলার, চাকুরিয়া যারা ব্যবসা করে।
চাদার ফরমান পেয়ে বাবুরা সব মস্তানের ঘরে
জমা দিয়ে যায় দশ হাজার বিশ হাজার টাকার চেক,
তারা ভাবে চলতে হয় আমাদের দিন রাত বাইরে,
জমা না দিলে চেক, জীবনটা হতে পারে ব্রেক!
বিশ লাখ টাকা উঠল, পুজোয় খরচ হল দশ
লাখ, মস্তানের পকেটে পড়ল বাকি টাকা
কৈফিয়ৎ চাইবে কে? সাহস আছে কার? মস্তানের
হিসাবের খাতার পাতায় সব টাকা ফাঁকা।
রটনা -05.08.2017