কান্না হল দুঃখময়
জানে এ জগৎময়
কান্নার লীলা খেলা
চলছে এ জগতে দুবেলা
নিবা রিবে শক্তি কার আছে?
কান্না নানাভাবে আসে
দুঃখ থেকে ভেসে ভেসে
জুটবে কখন কার ললাট
মোরা বৃথাই ভাবি তার পিছে!
আত্মীয় স্বজন মারা গেলে
কান্নার রোল সদাই চলে
সান্ত্বনা প্রবোধ দিতে আসে
কত বুঝায় কাছে বসে
কান্না থামে অবশেষে,
মা থাকে পুত্র-কন্যা মরে
মা হয়ে কিভাবে জীবন ধরে
কান্নার রোলে ললাটের আঘাতে
ধরবে জীবন কিভাবেতে!
মূর্ছা যায় নিমিষে নিমিষে!
অ্যাক্সিডেন্টে হাত পা ভাঙলে
কানা অন্ধ বোবা বধির হলে
না মরে বেঁচে রইলে
জীবনে বল কি স্বাদ পেলে?
বেশি কষ্ট পিতামাতায় দিলে,
পিতা-মাতা বাঁচবে যতদিন
ভেবে ভেবে জীবন হবে ক্ষীন
কাঁদতে কাঁদতে জীবন যাবে
যখন মৃত্যু এসে রেহাই দেবে
পিতা-মাতা শান্তি পাবে স্বর্গে চলে গেলে।
শিশুর যখন খিদে পায়
চিৎকার করে কাঁদতে রয়
মা তখন ছুটে আসে
দুধ দিয়ে খিদে নাশে
মায়ের কোলে শিশু হাসে,
শিশু যখন বড় হয়
মার কাছে সদা রয়
কাজ ছাড়া হলে মা
কাঁদতে থাকে করে 'হা'
মায়ের কাছ শিশু ভালোবাসে।
দু'পক্ষে বিরোধ বাধলে
কোন পক্ষের মাথা ফাটলে
জোট বাঁধে আত্মীয়-পরিজন
সবাই করুন সুরে করে রোদন
সমাজে অহরহ ঘটে এ অঘটন,
জলডুবি হলে পরে
মা কাঁদে রোদন করে-
'হা পুত্র তুমি কোথায় গেলে
অভাগিনী কে নরকে ফেলে
বৃথাই আমার জনম এ বিশ্ব ভুবন'।
ছেলেতে ছেলেতে খেলা হয়
বিবাদ যখন বেঁধে যায়
দুর্বল ছেলেটি মার খায়
কেঁদে কেঁদে মাকে জানায়
মা গিয়ে কারণ জানতে চায়,
সংসারে অভাব আসলে
খাদ্যের অনটন হলে
ক্ষুধার জ্বালায় শিশুরা
খেতে দাও বলে কাঁদে তারা
মা ভাবে কিভাবে খাওয়াবো তোমায়।
বাজার উৎসব এলে গাঁয়
শিশুরা কত বায়না ধরে যায়
নতুন পোশাক পরতে তারা চায়
বাবা-মা পড়ল বিষম দায়
অতো টাকা কড়ি কোথায়?
গরিব হওয়া বিষম দায়
অভাব শুধু পিছু ধায়
অন্নের অভাব- বস্ত্রের অনটন
গরিব শিশুরা করে শুধু ক্রন্দন
বাবা-মার বোঝা চাপল মাথায়।
বৃদ্ধ মা-বাবা মারা গেলে
পুত্র কন্যা বলে-তোমরা কোথায় গেলে
আত্মীয় স্বজন এসে পাশে
সান্ত্বনা দেয় কাছে বসে
কি কান্নার যে রোল পড়ে ওই পরিবারে!
মানুষ রোগ-যন্ত্রণায় ভুগলে
ক্যান্সার আলসার দেখা দিলে
দিন যত বাড়তে রয়
অসহ্য যন্ত্রণা তাতে হয়
ঠেকাতে পারে কে তারে?
পরীক্ষা দিলো সবাই
পাস করলো পাশের বাড়ির ভাই
কপাল আমার মন্দ হলো
ফেল সার্টিফিকেট ঘরে এলো
আমি কেঁদে কেঁদে উপায় হারা,
টিকিট কাটল সারা বঙ্গবাসী
কোটি টাকা পেল আমার মাসি
এক নম্বরের ফেরে আমি গেলাম বাদ
কেঁদে কেঁদে আমি হলাম উন্মাদ
ধরার বুকে হাসি-কান্নার চলছে এমন ধারা!
রচনা - 06/01/2019