এতদিন মোরা ছিলাম কোথায়?
আকাশ বাতাস গাছের পাতায়।
পাহাড় সমুদ্র গুল্মলতায়,
গ্রহ নক্ষত্র মানুষ যেথায়।
মাঠের মাঝে ফসল ক্ষেতে,
রজনীগন্ধার সুগন্ধ রাতে।
নীল আকাশের সূর্যালোকে,
ব্যস্ত মানুষ ছুটছে দিকে দিকে।
জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের আলো,
মা চুম্বন দেয় সন্তানের মুখেতে।
গহন বনে বাঘের গর্জনে,
হরিণ পাল ছুটে প্রাণপণে।
ছিলাম মোরা বঞ্চকের বঞ্চনায়,
নিষ্ঠুর পীড়কের নিশংস পীড়নায়।
সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনায়,
অশ্রু ঝরছে পীশাচের যাতনায়।
সর্বহারার নিদারুণ ক্ষুধার তাড়নায়,
বাস করে ফুটপাতে কি দারুন যাতনায়।
মুচি মেথর শ্রমিক চাষী কি দুঃখ যন্ত্রণায়,
কাজ করে হাটে মাঠে কল কারখানায়।
প্রেমিক প্রেমিকার বিরহ বেদনায়,
ভালোবাসা সুখ দুঃখ আনন্দ যন্ত্রণায়।
দানবের আস্ফালনে লোভ লালসায়,
আকাশ হচ্ছে কালো বোমার ধোঁয়ায়।
গাড়ি বোমা ভাটা চুল্লি কমাবে কী উষ্ণায়ন?
ধরায় স্বস্তিতে যাবে কি প্রাণীর জীবন?
শহরায়ন করছে মানুষ কত সুখের আশায়!
শিল্পায়নে ভুগছে মানুষ কি দুঃখ যন্ত্রণায়!
রকেট যাচ্ছে মহাকাশে গ্রহ উপগ্রহের অচিন দেশে,
বোতামটিপলে একনিমিষে বিচিত্রসংবাদদিচ্ছে শেষে
জঙ্গীবাদ জন্ম নিয়েছে নাশকতায় ভরে গেছে,
সৃষ্টি কি জানেনা ধ্বংসই এদের মূল কামনা।
শিল্পীর আল্পনায় কবির কল্পনায়,
সাংবাদিকের বীর পনায় লেখকের ভাবনায়।
ছিলাম-আছি-থাকবো এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে,
দেহ কলেবর পেলাম কবি কল্পনা ভান্ডে।
ঊর্ধ্বপদে হেড মুন্ডে কঠিন তপস্যায় ছিলাম,
কবি কল্পনা কৃপায় মোরা ভূমন্ডলে এলাম।
ভূমন্ডল এসে মোরা কেমন পাবো আদর,
একথাটি মোরা ভাবি নিরন্তর।
বৃথা ভাবো বৃথা চিন্ত্য বৃথা করো ডর,
কর্ম গুণে ফল- ইহা বিধাতার বর।
রচনা - 13/12/2018