হাসির বাঁশি কানে আসে বেশি বেশি
ভাষার আগে শিশু হাসে নানান বাগে
বিশ্বমাঝে তুলনা তার নাহি মিলে,
শিশু মুচকি হাসে যাবে বলে মায়ের পাশে
ফোকলাগালে ঠোঁট মেলে উঠবে বলে মায়ের কোলে
কি মজা পায় শিশু মা হাত দুটি বাড়িয়ে দিলে!
শিশু একটু বড় হলে মজা তখন ঘিরে ফেলে
কি আনন্দ পাই মোরা খিলখিলিয়ে হাসলে শিশুরা
তা দেখে কি আনন্দ পাই আমরা!
পথে চলার কালে রাস্তায় পিছলে পড়লে
হো হো করে হেসে ওঠে হাত চাপড়িয়ে গায়ে পিঠে
কি আনন্দে ঢলে পড়ে তারা!
বল খেলার মাঠে দর্শকরা বসে গ্যালারির কাঠে
গোলহয়ে গেলে আনন্দের রোলপড়ে নিজেদের দলে
খেলার মাঠে খুশির হাসি বয়ে যায়!
সমান সমান দলে খেলা যখন চলে
শেষ মুহূর্তের গোলে কোন দল জিতে গেলে
বিজয়ী দলের লোকে অট্ট্ হাসি দেয়।
যাত্রা নাটক থিয়েটারে আনন্দেরঢেউ ওঠে বারেবারে
শ্রোতাবর্গ খুশীরহাসিতে বয়স্যের কৌতুকরসেরধাতে
হাত তালিতে গোটা আসর টা কাঁপে
পরীক্ষাররেজাল্ট বেরুলে খুশিরহাসিবয়পাশকরলে
যে ছেলেটি ফার্স্ট হয় চাপা হাসি মনের মাঝে রয়
আলাপনে আনন্দ রস বেরোয় ধাপে ধাপে।
প্রেমিক-প্রেমিকা দেখা হলে তাদের মধুর আলাপনে
মধুর হাসি বেরোয় ফুটে আলাপ যখন জমে ওঠে
তখন স্বর্গীয় আনন্দ বিরাজ করে মর্ত ভুবনে,
দাঁত নেই মাড়িতে বয়স গেছে দেহেতে
আনন্দ যখন আসেমনে ফোকলাহাসি হাসে প্রাণপণে
কি আনন্দ বয়ে যায় বৃদ্ধের মনে।
পেঁচুক লোকের মুচকি হাসি
বেড়াজালে তোমায় ফেলবে কশি
সর্বদাই মনের মাঝে এ জল্পনা টি হয়।
দুষ্টু লোকের মিষ্টি হাসি হুঁ দিয়ে যায় ভালোবাসি।
সদা ক্ষতি করার ইচ্ছা টি মনের মাঝে রয়।
মনের মাঝে হাসির বাঁশি ফুটে ওঠে বেশি বেশি
নয় ছিদ্রের বাঁশের বাঁশি নব রসের ভরাট রাশি
হাসির মাঝে ফুটে ওঠে মানব মনের স্বরূপখানি,
নানা মনের নানা মানুষ কেউবা হুঁশ কেউবা বেহুঁশ
হাসির ধাঁচে ধরার মাঝে ধরা পড়ে সবার কাছে
ওগো কেমন ভাবের কেমন মনের মানুষ তিনি।
রচনা - 05/01/2019