কার্তিক মাসে গিয়েছিলাম নবদ্বীপ বেড়াতে,
সারা রাত কেটে গেল ধর্ম কথা শুনতে।
নাতি কৃষ্ণ দাস ছিল আমার সাথে,
সে বলল আমাকে, ধর্ম কথা বলতে।
আমি তাকে বললাম- "দাদাভাই,
ধর্মশাস্ত্র বই আমার তেমন পড়া নাই।
তবুও আমি যা জানি বলবো তাই,
শুনতে তোমরা যেন হেলা করো নাই।
জলের ধর্ম নিচে নামা, বাতাসে উড়ে ঘুড়ি,
চাঁদ রাতে জ্যোৎস্না দেয় জোয়ারে গড়া গড়ি।
সূর্যদেব আলো দেয়, জীবের খাদ্য তৈরি হয়,
নিমের ধর্ম তিতা, মধুতে মিষ্টি রয়।
আগুনে পুড়ে ছাই হয়, উপরে উঠে জ্বলি,
সর্পদংশনে বিষ দেহ করে কালি
ব্যাঘ্র হিংস্র জীব সকল প্রাণীকে মারে,
মানুষ শ্রেষ্ঠ হয়, মনুষ্যত্বের তরে।
পৃথিবী টানে সকলকে, বাতাস ছুটে আগুনে,
আকাশের রং নীল হয়, গুণ নেই বেগুনে।
কৃষ্ণদাস বলে-' দাদা,ওসব
কথা ভাল লাগেনা মাথায়,
মহামানবের ধর্মকথা বলো-
মোদের সহজ কথায়,
কৃষ্ণ দাসের কথায়, বলতে হয় তবু,
এ পৃথিবীতে ধর্ম আছে বহু।
যখন যেখানে চলে
অন্যায় অত্যাচার অবিচার,
ধর্মের গ্লানি, সাধু নিপীড়ন
আর ব্যভিচার।
আসি মহামানবগণ তথায়
করে ধর্ম প্রবর্তন,
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান জৈন
পারসিক ইসলাম।
ঠাকুর রামকৃষ্ণ কয়-
'জীবের মধ্যে ঈশ্বর রয়;
স্বামীজি কয়- 'জীবকে সেবা
করলে ঈশ্বরকে পাওয়া যায়;।
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাবীর বুদ্ধ,
হযরত মহম্মদ যীশু খ্রীষ্ট
সকল মহামানব বলেন-
'মানুষ হবে ন্যায় ধর্মনিষ্ঠ
জীব হিংসা প্রাণী হত্যা
এসব হলো মহাপাপ,
মানুষ হয়ে না মানলে
জীবনে পেতে হবে মহাতাপ;।
রচনা - 26/07/2017