সুন্দর সুন্দর গাছ ছিল বনের মাঝ
পশু পাখি করতো বিচরন,
ফুল ফুটতো পাতা নড়তো সবুজে ভরে যেতো
অবাক হয়ে দেখতো মানুষজন।
ভর্তি ফল ফুল আসতো অলিকুল
ফুলের মধু করতো তারা পান,
বিহঙ্গম আসতো উড়ে বসতো গাছের চূড়ে
বসে মনের সুখে করতো তারা গান।
চোরতো গরু ঘোড়া বাঘ হরিণ ভেড়া
মানুষ আসতো বনে হাতে ধনুর্বাণ,
বনে মৌচাক ভাঙতো মধু সংগ্রহ করত
মনের সুখে মধু করত পান।
কাঠ সংগ্রহ করে নিয়ে যেত ঘরে
মানুষ রান্না করতো মনের সুখে,
বাঁধত বাড়ি ঘর ছিলনা কোন ডর
তারা থাকতো ঘরে হাসিমুখে।
কার্বন ডাই নিতাম অক্সিজেন ছাড়তাম
আমি করতাম বায়ু শোধন,
মানুষ থাকত সুখে হাসি ফুটত মুখে
ছিলনা বায়ুর কোন দূষণ।
বাষ্পমোচন করে বৃষ্টি পড়ত ঝরে
ধরায় হত সকল জীবের সৃষ্টি,
মানুষ গরু ছাগল খেত ফল পাতা বাকল
ধরায় পড়তো প্রকৃতির শুভ দৃষ্টি,
হৃদয়ের ব্যথা সে সকল কথা
আমার মনে আছে সব গাঁথা,
সুন্দর সুন্দর গাছ ছিল বনের মাঝ
স্মরণ করলে লাগে আমার ব্যথা।

মনের দুঃখে মরি কুড়াল হাতে করি
মানুষ কাটলো যত বনের গাছ,
কল-কারখানা বানালো লম্বা রাস্তা করল
অট্টালিকা গড়ল ফাঁকা মাঠের মাঝ।
অক্সিজেন কমছে কার্বন ডাই বাড়ছে
দারুণভাবে ঘটছে বায়ু দূষণ,
গাড়ি চুল্লীর ধোঁয়া ফাটছে যুদ্ধের বোমা
প্রবল ভাবে বায়ুতে বাড়ছে উষ্ণায়ন।
গলছে হিমবাহ বাড়ছে বায়ুপ্রবাহ
সমুদ্রের জল বাড়ছে দিন দিন,
ঘনঘন নিম্নচাপ বাড়ছে শুধু বজ্রপাত
এতে জীবজগতের আয়ু হচ্ছে হ্মীন

কে মেটাবে খামখেয়ালী মানুষ এর এ পাগলামি?
এ যেন দানবের ফের সমুদ্র মন্থন!
এমন কোন মহাজন' আসবেন কি নারায়ন?
ধরার বুকে বায়ুর উষ্ণায়ন করিতে মোচন!



রচনা -21/10/2017