"সন্ত্রাসীর পরিণাম"
রচনায়: প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
কবি, গীতিকার ও অথর
প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ,
সরকারি তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা।
খেলা ধুলোয় শিশু কালটা
কেটে যাওয়ার পরে,
চুপিসারে কৈশোর এলো
মনন মেধার ঘরে।
হৈ হুল্লোড় আর বন্ধুবান্ধব
পড়ার ফাঁকে ফাঁকে,
ইয়াবা আইস আর অর্থের নেশা
হাতছানিতে ডাকে।
অফিস কাজে অস্থির বাবা
মাতাও ব্যস্ত থাকে,
নেশাখোর আর বড় ভাইরা
মোবাইল টিপে ডাকে।
কালো অর্থের লোভ দেখিয়ে
অস্ত্র দিলো হাতে,
যুক্ত হলাম ভয়ংকর সব
নোংরা কাজের খাতে।
খুন যখম আর ব্যভিচার কাজ
বাদ রইলোনা কিছু,
কিশোর গ্যাঙের সভ্যরা সব
ঘুরে পিছু পিছু।
কৈশোর শেষে যৌবন এলে
দায়িত্ব যায় বেড়ে,
দেশ-বিদেশে কতজনের
জীবন নিলাম কেড়ে।
পাপের ভারা বাড়তে বাড়তে
বৃদ্ধকালটা এলো
গায়ের গরম মনের শক্তি
সবই কমে গেলো।
অতীতের সব পাপের কর্ম
ঘোর ভিলেনের মতো,
ওঠতে বসতে স্বপ্নেও পীড়ন
করে অবিরত।
চ্যুত হলাম সমাজ সংসার
হারায় গেল শান্তি,
নরক রূপী অগ্নি যেন
অতীতের সব ভ্রান্তি।
মারলে পেরেক শান্তির পায়রার
কফিন ঘরের দোরে,
দুর্বিসহ জীবন রাখতে
পারিনা আর ধরে।
হিটলার ইভা ক্লাইভের মতো
আত্মহত্যা করে,
জাগতিক ক্লেশ মুক্ত হলাম
এ জীবনের তরে।
কৈশোর যৌবন থাকতো যদি
নিত্য ভালো কাজে,
বৃদ্ধকালে শান্তির বাতাস
বইতো হৃদয় মাঝে।
স্বর্গ সুখের পড়তো ছায়া
বৃদ্ধকালটা ঘিরে,
মরণকালে বলতো লোকে
লোকটা ছিল হিরে।