"প্রগতির বীর"

রচনায়ঃ প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
                পিএইচ. ডি. (ঢা. বি.)


সভ্যতার রসের হাড়ি চাষি মজুরের ঘামে নির্মিত বাড়ি
মাটির প্রদীপ আঁধারে,
তরঙ্গের তালে তালে সভ্যতার তরণী দোলে উজান ছাড়ি
হাড়ি আকন্ঠ ভরে।

মজুরের ঘর্মের বন্যা শ্রমিকের কান্না ধারণে
সভ্যতার মলয় এ ধরা,
খেটেলের খাটোনে গুরুর মনন মগজের কারণে
কাননে কুসুম কলি ভরা।

ঊষর বন্ধ্যা ধরণী তল তাল বেতালে উজ্জ্বল সাজে
সভ্যতার উদ্যান,
মলয় মালিকের মানসিক মালির কায়িক কাজে
জাগে সুরভি বাগান।

বিজ্ঞানের নয়ন শিল্পীর তুলি রাজার নীতি গুরুর জ্ঞানে
সুরম্য সুসজ্জিত সরোবর,
কাননে কুসুম কলি ফুলে ফলে ঢোলাঢোলি মালীর কারণে
পূর্ণতা পায় পুষ্পসায়র।

খেটেলের খাটে দোলে সজ্জিত বধূ কোলে সভ্যতায়
খাটোনে ভয় নয়,
সাপুড়ে বাঁশি বাজায় তালে তালে তাদের নাচায়
তাদের ভয় হয়।

মর্যাদায় তরণী উজানে বায় তখনি এগিয়ে চলে
কর্মক্লান্ত পাপীর হাতধরে,
পরশ মণির গুণে পাপীর চেতনার তপবনে পুষ্প দোলে
শাপ মোচন করে।

গায়ে গতরে মন মননে জননীর ভরণ পোষণে নেই যারা
বস্ত্রহরণ করে তারা,
অসুর দুরাচার যারা ইবলিসের দোষর তারা
জননীকে করে সুরহারা।

এদের বিলাসী ভ্রমণে ফূর্তিবাজির কারণে
তপবনে ধ্যানে বেঘাত ঘটায়,
কালো মুখোশের কারণে কর্মবিমুখ বাড়ে তপবনে
শান্তির পায়রা উড়ে যায়।

শ্যামলীমার সম্ভ্রম ধারা অহর্নিশ ভাবেন যারা
উঁচু করে জননীর শির,
কর্মের মাঝে জননীর স্বাস্থ্যের খবর রাখে ডাক্তার তারা
প্রগতির ঝান্ডা বাহী বীর।