"নিরাকারের অন্বেষণে"
রচনায়ঃ প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
পিএইচ. ডি. (ঢা.বি.)
নিরাকার সর্বশক্তিমান এত ছোট নয়
বন্দী পাষাণ প্রাচীরে,
জগত জোড়া তার পদচারণা রয়
বেবাক প্রাণের ভীড়ে।
আছেন তিনি সবার কাছে সবার পাছে
সর্বহারাদের মাঝে,
আর্ত আতুর অবলা অসহায় সবার কাছে
সুবা সাঁঝে।
মাঠে কিষাণের সাথে কিষাণীর কুলায়
ঋণীর ঋণের বোঝায়,
তিনি হাঁটেন ভিখারির হাটে পরশ বুলায়
যেখানে ক্ষুধায় কাতরায়।
তারে পাবে শ্রমিকের ঘামে ভাসা
আগুন খোয়ায়,
যেথায় শক্ত শিলা চিরে চষে চাষা
ফসল ফলায়।
তিনি তাদের পাশে পাষাণ কাটে
পথ বান্ধে যারা,
শক্ত শৈলের সিন্দুক সিঁদে আনে বাটে
বারির ধারা।
নিরোন্ন ক্ষুধিত পেটে আগুন ধরে
এদিক ওদিক ঘোরে,
তিনি তাদের খালি ঝোলা ভরে
আগ নেভায় উদরে।
পথে প্রান্তরে বনে বাদাড়ে কত জীবে
ক্ষুধায় কাতরায়,
সহমর্মিতায় আঁখি তার অশ্রুতে ভিজে
অর্চকরা কে কোথায়?
শুধু মশজিদ মন্দির প্যাগোডা গীর্জা নয়
আছে সকলের মাঝে,
জীবসেবায় আমার আরতি দেয়া হয়
সকাল বিকাল সাঁঝে।
মধুর সুরে বাজেনা মোর আরতি বীণা
জীবে ঘৃণা করে,
আমি যে তাদের কায়ার সিনা
বুঝোনা কেনোরে?
হিংষা দ্বেষের সিঁড়ি টুকরো টুকরো করি
সর্বভূতে প্রেম কর,
মানুষের মাঝে বান্ধো মিতালির দড়ি
পরস্পরের সেবা কর।
তোদের ভাগ্য ফেরাবে এসব বেদবাক্য
গুণীজনেরা কয়,
মানব সেবাই নিরাকারের সেবা ফেরায় ভাগ্য
জীবের হোক জয়।