আয়রে ছুটে খোকা খুকু আয়রে তোরা আয়
তোদের নিয়ে যাবো আমার পল্লীমায়ের গাঁয়।
দেখবি তোরা আমার গাঁয়ের সবুজবরণ রূপ
সারি সারি গাছগাছালি কীযে অপরূপ।
দোয়েল কোয়েল ময়না টিয়ার শুনবি কত গান
হাজার পাখির কোলাহলে জুড়িয়ে যাবে প্রাণ।

গ্রীষ্ম এলে দেখবি গাঁয়ের শুকনো জলা খাল
নৌকো সারি ঘুমায় তীরে গুটিয়ে রাখে পাল।
গ্রীষ্মকালে দেখবি আরো আম কাঁঠালের ধুম
মিষ্টি মধুর ফলের রসে কাড়বে তোদের ঘুম।

বর্ষা এলে দেখবি ওরে শাপলা ফোটা বিল
পাপড়ি মেলে হাসে ওরা করে রে ঝিলমিল।
কদম কেয়ার গন্ধে তোদের উঠবে ভরে মন
বৃষ্টিধোয়া গাঁওটি আমার দেখবি সারাক্ষণ।

বর্ষাপরে আসবে শরৎ দেখবি আকাশ নীল
সন্ধারাতে দেখবি আবার লক্ষ তারার মিল।
শরৎনিশির জোছনা দেখে বলবি চমৎকার
রাশি রাশি মিষ্টি আলো চনমনে বাহার।

শরৎ গিয়ে হেমন্তটা আসবে যখন ফিরে
দেখবি ঝরা শিশিরকণা ভোরের ঘাসে ঘিরে।
মিষ্টিভোরে দেখবি আরো সুর্য ওঠার আগে
শিউলিফুলের মেলা বসে গাঁয়ের কুসুমবাগে।

কনকনে ঐ শীতের কালে দেখবি শীতল গাঁ
সকাল সাঁঝে দূর্বাঘাসে শিশির ধোয়ায় পা।
মিষ্টি রোদে শীতের সকাল লুটোপুটি খায়
সে কী দারুণ স্বর্ণছোঁয়া আমার পল্লী গাঁয়।

শীতের পরে আসবে যেকাল ওরে প্রিয় খোকা
দেখবি রূপের বসন্তটা পুষ্প থোকা থোকা।
ডাকবে কোকিল গাছের ডালে কুহু কুহু সুরে
আমার গাঁয়ের পল্লীশোভা দেখবি ঘুরে ঘুরে।
নানা বরণ নানা ধরণ নানান পরিবেশ
বহুরূপী গাঁওটি আমার নেইকো রূপের