প্রতিরাতে দুধের বাটির
দুধ খেয়ে যায় কোন চোরে
ধরতে গিয়ে পারি নাতো
যায় পালিয়ে ভৌঁ দৌড়ে।
ঘুমটাকে আজ বাদ দিয়েছি
ঝাঁটা হাতে নিলাম এই
চুরির জ্বালা বুঝিয়ে দেবো
আসবে খেতে দুধটা যেই।
একটা বাজে দুইটা বাজে
চোরের দেখা নাইরে নাই
আজ পিটিয়ে করবো সারা
একবার যদি পাইরে পাই।
তিনটা বাজে হঠাৎ দেখি
গুটি গুটি পায়েতে
চোর তো নয় সে কালো বিড়াল
লোমভরা তার গায়েতে।
দুধের কাছে গিয়ে মশাই
চক্ষু দুটি বাঁকিয়ে
এদিক সেদিক দেখে নিলো
ঘাড়টাকে তার বাঁকিয়ে।
চুপিচুপি সামনে বাড়ি
পিছ লুকিয়ে ঝাঁটাটা
আরো কাছে যাই এগিয়ে
ধীর করি মোর হাঁটাটা।
কিন্তু হায় হায় এ কী বেপার
হয় না বিশ্বাস আঁখিতে
এ যে রাজার কালো বিড়াল
চিনতে হয় না বাঁকিতে।
আমায় দেখে বিড়াল মামা
দৌড়ে গেলো পালিয়ে
এইভাবে সে প্রতিরাতে
দুধ খেয়ে যায় জ্বালিয়ে।
হাতের ঝাঁটা ফেলে দিয়ে
গুনছি প্রহর দিন ভোরের
রাজার কাছে করবো নালিশ
চাইবো বিচার দুধ চোরের।
যাই সকালে রাজার কাছে
কুনিশ করে দাঁড়িয়ে
তার বিড়ালের আমলনামা
ধরলাম তাকে বাড়িয়ে।
রাজার মুখে ব্যঙ্গ হাসি
বুঝি না তার কি মানে
তাহলে কি মহারাজা
আগে থেকে সব জানে?
উল্টো আমায় ধমক দিয়ে
বলে উঠেন মহারাজ
তার চুরিটা দেখলি কেনো
সাজা হবে তোরই আজ॥