একটি মেয়ে রোজ প্রভাতে
আমার শিউলি গাছতলে
কোঁচড় ভরে শিউলি কুড়ায়
শিশিরভেজা ঘাস মলে।
অর্ধখোলা জানলা দিয়ে
দেখি তাকে ভোর জেগে
মুখোমুখি হই না কভু
যদি গো সে যায় ভেগে।
শরতনিশির জোছনা যেন
সোনার ডানায় ভর করে
আমার বাগে নামলো এসে
দিল ছুঁয়ে যায় দিল্ পরে।
ইচ্ছে করে জানতে যে তার-
কি নাম,কোথায় থাকে সে
এত্তো ফুলের মালা গেঁথে
দেয় যে নিয়ে কাকে সে।
একদিন হঠাৎ লাজুক স্বরে
ডাকছি তাকে এই মেয়ে!
আড়চোখে সে মিষ্টিমুখে
হাসলো আমার দিক চেয়ে।
কিন্তু একি! চোখের পলক-
পড়তেই দেখি সব ফাঁকা
এক নিমেষে কোথায় গেলো
কোথায় যে তার হয় থাকা।
হায় বিধি হায় কিযে হলো
কেন তাকে ডাক দিলাম
আমার চোখের দৃষ্টিশোভা
তাড়িয়ে বুঝি দুখ নিলাম।
বেশ কিছুদিন পরে আবার
দেখি ভোরে সেই মেয়ে
মিষ্টি কোমল সোনামুখে
যেন হাজার রূপ ছেয়ে।
আলতো ভোরে বাহিরে ঐ
দাঁড়িয়ে যেন চাঁদপরী
আবেগে সব ভুলে গিয়ে
মনে চায় তার হাত ধরি।
মায়াবী এক হাসি দিয়ে
বললো আমায় না না না
আমি পরী মানুষ তো নই
আমায় তুমি ছুঁবা না।
তবে আমি রোজ প্রভাতে
আসবো তোমার কাছে যে
তুমি ছাড়া কেউ পাবে না
দেখতে আমায় পাছে যে।