লক্ষ লক্ষ ক্ষুদিরামের জন্ম হোক


আজকের এই অন্ধকারে—
যেখানে স্বাধীনতা মানে নিরবতা,
আর ভাষা মানে শুধুই বিজ্ঞাপন,
সেখানে প্রয়োজন লক্ষ লক্ষ ক্ষুদিরাম,
যারা জীবনের চেয়েও বড় করে দেখে—
একটি ন্যায়ের সকাল।

তাদের চোখে আগুন নেই,
আছে শুধুই সত্যের দীপ্তি।
তারা বারুদের ভাষায় কথা বলে না—
তারা বলে রক্তে লেখা ইতিহাসের গল্প,
যেখানে বীরত্ব মানে গর্জে ওঠা প্রশ্ন।

তারা জানে,
পেটের ক্ষুধা নেভায় না রাষ্ট্রের নীতিপত্র,
আর চোখের জল মুছে না উন্নয়নের স্লোগান।
তাই তারা স্কুলে শেখে না শুধু ইংরেজি বাক্য,
তারা শেখে অন্যায়ের সামনে দাঁড়িয়ে বলা—
“না!”

তারা জন্ম নেয়—
চায়ের দোকানে, মাঠে, কিষাণের ঘামে,
কারখানার যন্ত্রঘরে, কিংবা খুপরি বাসায়,
কিন্তু তারা সব জায়গায় বয়ে আনে—
একটি বিদ্রোহী চেতনার আলোকবর্তিকা।

তারা ছিঁড়ে ফেলে মিথ্যার পাঠ্যবই,
তারা লেখে নতুন ইতিহাস—
যেখানে কিশোর ছেলেটি হয়ে ওঠে আগ্নেয়গিরি,
আর প্রতিটি কিশোরী বুকে বাঁধে
ভালোবাসার, সংগ্রামের, বিদ্রোহের গান।
তারা জানে—
শুধু ‘ক্ষুদিরাম’ নাম নয়,
এ এক চেতনা, এক জীবন্ত স্লোগান,
যা প্রতিটি ঘরে জ্বালাতে পারে
একটি আগুন, একটি অভ্যুত্থান।
চলো, আমরা গড়ি সেই আগুনের পাঁজি,
যেখান থেকে উঠে আসবে—
কৃষকের হাসি, শ্রমিকের অধিকার,
নারীর সাহস আর শিশুর স্বপ্ন।
চলো, বলি সগৌরবে—
“আমরা লক্ষ লক্ষ ক্ষুদিরাম,
আর এই দেশে —
আর কোনো শাসকের লাঠিতে নাচবে না।