**কুয়াশাচ্ছন্ন ভারত মাতা**
কুয়াশার চাদরে জড়ানো এক নিঃশব্দ প্রভাত,
সেখানে বসে আছেন ভারতমাতা, গভীর অন্তর্গত।
চোখের পাতা ভারী, দৃষ্টি তলানিতে বাঁধা,
যেন যুগ যুগ ধরে নীরব বেদনা কাঁদা।
চুলগুলো এলোমেলো, যেন ঝড়ে ভাঙা তমাল,
তার মাঝে গোপনে লুকায়িত শত প্রশ্নের জাল।
মাথা নীচু, যেন লজ্জা নয়, এক নীরব প্রতিরোধ,
আগুনের উপরে পা, অথচ মনে অদম্য প্রবোধ।
চিতাভস্মের ধোঁয়ায় ভাসে স্মৃতির ছোপ,
অর্ধমৃত নয়, সে তো জীবনের অনন্ত রূপ।
অন্ধকারে মোড়া তার ভুবনজুড়ে কুয়াশা,
যেন নিঃশব্দে রচনা করছে এক বিপ্লবের ভাষা।
দুর্ভিক্ষে দগ্ধ তার শরীর, তবু অন্তরে আগুন,
পারিশ্রমিকহীন যোদ্ধা, নয় তো কোনো দাসত্বের গুণ।
তার প্রতিটি শিরায় খেলা করে সংগ্রামের স্রোত,
সে তো ভারত মাতা, যে বাঁধে ভবিষ্যতের রথ।
এই কুয়াশা কেটে উঠবে একদিন সুবর্ণ রবি,
তার হাসিতে জাগবে বিপ্লব, ছড়াবে আলো নবী।
দগ্ধ বুকেও জ্বলবে তবু অনির্বাণ প্রদীপ,
ভারতমাতা থাকবে অমর, তার স্বপ্নে মুক্তিপথের দ্বীপ।