সেদিন শেষবারের মত তোমার কোল ঘেষে বসেছিলাম
আসন পেতেছিল প্যারেড মাঠের তিন রাস্তার মোড়
ছায়াময় শীতলতা ঝড়িয়েছিলো শিল কড়াইয়ের সাড়ি
ধর্ম পাড়ার চন্দ্রাশ্রী সেদিন বুকে মুখ গুজে বলেছিল
"তোর বিচ্ছিরি তারাটা আগলে রাখিশ
আমিও যে তোরই মত পা রাখতে ভয় পাই
ব্যস্ত পিচঢালা সড়ক ও তুইহীন এ শহরে"
মনে পড়ে চন্দ্রাশ্রী, আমি তোমার ঠোটে আঙ্গুল চেপে
থামিয়ে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ছিঃ এসব মুখে আনতে নেই
আমি আছিতো।
বলেই তোর শরীরের গল্পে মেতে উঠলাম আদিম প্রানির মত
তোর ঠোট থেকে বুক, বুক থেকে ঠোট
যেন শুষে খাচ্ছে কোন সামুদ্রিক শুষুক।
তুই আমায় থামিয়ে দিলি
গালে আলতো হাত রেখে বললি
"যেটাকে তুই তোর মন্দির ভাবিস
সেটাকে পিতৃতুল্য পুরুষেরা আশ্রম কুটিরেই
ভোগ করেছে বহুবার
ছিড়ে খাবলে খেয়েছে আমার কুমাড়িত্ব
আঠেরোটি বছর আমাকে বয়ে বেরাতে হচ্ছে
ধর্ষিত নারিত্ত্ব আর পুরুষের এক পাক্ষিক যৌনতার অভিশাপ।"
খানিক থেমে আবার বললে "পুরুষ নয়, আমার মানুষ চাই"
সেদিন আমরা দুজনেই জানতাম
আমাদের জন্ম হবে অসংখ্যবার
বদলে যাওয়া ভূখন্ডের দীর্ঘ শীতের রাতে
হাত ফসকে যখন তুমি নিখোজ হলে
তারপর থেকে তোমার প্রতিক্ষায়
মৃত্যুফলকে অমৃত ভেবে খেয়েছি বহুবার
আধখানা গন্ধম খেয়ে যে বায়বীয় নারী
আপেলের পাতা বুনে যে উষ্ণতা জাগিয়েছিল
সে আগুনে পাখায় সুগন্ধি মেখে
ঝাপিয়ে পড়েছে বহু ফেরেশতা
এখন তোমার নাকফুলে কাপে অজানা নিষেধ
বুকের জমিনে অচেনা রক্তের ঘ্রান
তবুও আধখানা গন্ধম আকড়ে দাঁড়িয়ে আছে
তোমার প্রিয় সত্য।
১লা এপ্রিল/২০১৬
শুক্রবার, ঢাকা
সকাল ৫.৩৫